জুরিখ: রেকর্ড সপ্তমবার ব্যালন ডি অর খেতাব জিতলেন লিওনেল মেসি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর তুলনায় ঝুলিতে রয়েছে অতিরিক্ত ২টো ব্যালন ডি অর। মহিলাদের ব্যালন ডি অঁর জিতেছেন স্পেন এবং বার্সেলোনার অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস। বিশ্বের সেরা অনূর্ধ্ব-২১ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন পেড্রি। বিশ্বের সেরা গোলকিপার হয়েছেন জিয়ানলুইজি দোনারুমা। এর আগে ২০০৯, ২০১০, ২০১২, ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে ব্যালন ডি'অর জিতেছিলেন মেসি। আবার জিতলেন ২০২১ সালে। মেসির হাতে এই খেতাব তুলে দিলেন বার্সায় তাঁর প্রাক্তন সদস্য লুইস সুয়ারেজ।
ব্যালন ডি অর পাওয়ার দৌড়ে মেসির সঙ্গে ছিলেন পোল্যান্ডের লেওয়ানডস্কি। ভাল ছন্দে ছিলেন শেষ মরসুমে। কিন্তু মেসিই শেষ হাসি হাসলেন। খেতাব জয়ের পর আর্জেন্তাইন সুপারস্টার বলেন, ''এখানে থাকতে পেরে দুর্দান্ত লাগছে। আমি জানি না, কতদিন এই পর্যায়ে খেলে যেতে পারব। অত্যন্ত খুশি। বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনার সকল খেলোয়াড়কে ধন্যবাদ। এতদিন ধরে লড়াইয়ের পর কোপা জেতার বিষয়টা একেবারে স্বপ্ন সত্যি হওয়ার অভিজ্ঞতা।'' ব্যালন ডি অর পুরস্কার দিয়ে থাকে ফরাসি ফুটবল ম্যাগাজিন। তাঁরা প্রথমে ৩০জন ফুটবলারকে বাছাই করে পুরস্কারের জন্য। এরপর ১৮০ জন নির্বাচিত সাংবাদিকের ভোটে ৩০ জন থেকে কমিয়ে তালিকাটা ছোট করে আনা হয় ৫ জনে।
৩৪ বছর বয়সী মেসি বার্সেলোনার জার্সিতে খেলেছেন কেরিয়ারের দীর্ঘ ২১ বছর। কিন্তু এরপরই পিএসজিতে পাড়ি জমান তিনি। আর্জেন্তিনার জার্সিতেও সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট করেছিলেন কোপায়। টুর্নামেন্টের সেরার তকমাও এসেছে তাঁর ঝুলিতে।
দক্ষিণ আমেরিকার থেকে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছে আর্জেন্তিনা। প্রথম দল হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেছিল ব্রাজিল। গত মাসে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠেই হারতে হয়েছিল। এবার সেই কলম্বিয়ার বিরুদ্ধেই জিতে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছিলেন নেমাররা (neymer)। এই জয়ের ফলে ১২ ম্যাচে ১১টি জয় ও ১টি ড্র সহকারে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে রয়েছে ব্রাজিল। উরুগুয়ের থেকেও ১৯ পয়েন্টে এগিয়ে তারা।