অমিতাভ রথ, সাঁকরাইল : ভারতের সিনিয়র মহিলা ফুটবল টিমে সুযোগ পেলেন সাঁকরাইল ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে মমতা হাঁসদা। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ১৪ জনের দলের অন্যতম সদস্য এই মিডফিল্ডার। খবর পেয়েই ডাক্তার বিধায়ক খগেন্দ্র নাথ মাহাতো শুভেচ্ছা জানাতে পৌঁছে যান তাঁর বাড়িতে। আরও ভালো খেলার জন্য উৎসাহিত করেন তিনি। খেলাধূলা ভাল করে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পাশে থাকার আশ্বাসও দেন।
প্রত্যন্ত গ্রামের আদিবাসী পরিবারের মেয়ে মমতা। পরিবারের ছোট মেয়ে। দুই দিদি, এক দাদা এবং মাকে নিয়ে পরিবার। বাবা নেই। ছোট থেকেই রান্নার বদলে ছেলেদের সঙ্গে খেলতে পছন্দ করত মমতা। একটু বড় হওয়ার পরও ছেলেদের সাথেই ফুটবল খেলাকে বেছে নেন । বর্তমান সরকার খেলাধূলায় জোর দেওয়ায় শুরু হয় জঙ্গলমহল কাপ। সরকারি এই টুর্নামেন্টই জীবন বদলে দেয় মমতার।
মহিলাদের টিমে সহজেই জায়গা করে নেন মিড ফিল্ডার মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে বেস্ট প্লেয়ার হিসাবে স্কুটিও উপহার পান। এর পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। একের পর এক সুজোগ আসতে থাকে তাঁর কাছে। আর যোগ্যতার প্রমাণ দিতে থাকেন মমতা। জুনিয়ার, আন্ডার নাইন্টিন-এ ন্যাশনাল, সুব্রত কাপ খেললেও, ইন্ডিয়া টিমের সিনিয়র প্লেয়ার হিসেবে আন্তর্জাতিক স্তরে সুযোগ এই প্রথম। আর এই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে আরও ভাল খেলোয়াড় হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মমতা।
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, এবার দীর্ঘদিন পর কলকাতা লিগ আসে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের তাঁবুতে। প্রিমিয়ার ডিভিশন এ গ্রুপের ফাইনাল ম্যাচে রেলওয়ে এফসি-কে ১-০ গোলে হারিয়ে খেতাব জেতে সাদা-কালো ব্রিগেড। ম্যাচের শুরুতেই গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস জোশেফ। এরপর আর ব্যবধান বাড়াতে না পারলেও, গোল ধরে রাখে মহমেডান। মার্কাসের গোলটাই শেষপর্যন্ত খেতাব এনে দেয়। চার দশক পর কলকাতা লিগ জিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ে সাদা-কালো শিবির।