কলকাতা: বাড়ি পঞ্জাবের মানাসারে। টেনিস ক্রিকেটে রীতিমতো সুপারস্টার। তবে সেখানে রমেশ (Ramesh Kumar) নামে তাঁকে বেশি কেউ চেনেন না। বরং ‘নারাইন জালালাবাদিয়া’ নামেই পরিচিত। বাঁ হাতে ব্যাট করেন ‘নারাইন জালালাবাদিয়া’। বিশাল বড় ছক্কা মারতে পারেন। চামারু কসকো ক্রিকেট কাপে ১০ বলে ৫০ রানও করেছেন। সেই ভিডিয়ো ইউটিউবে ঝড় তুলেছে। তাঁর ব্যাটিংয়ের আরও ভিডিয়ো ইউটিউবে যথেষ্ট জনপ্রিয়। তবে সেইসব ভিডিয়োয় কোথাও রমেশ কুমারের উল্লেখ নেই। বরং ‘নারাইন জালালাবাদিয়া’ নামেই ভিডিয়োগুলি আছে।


কেন নারাইন জালালাবাদিয়া বলা হয় রমেশ কুমারকে? কারণ, ২৩ বছরের ক্রিকেটার বাঁহাতে স্পিন বোলিং করেন। এবং তিনি দুদিকে বল ঘোরাতে পারেন। অনেকে যে কারণে তাঁর সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিস্ময় স্পিনার সুনীল নারাইনের (Sunil Narine) মিল খুঁজে পান। বোলিং অ্যাকশনও অনেকটা নারাইনের মতোই। আইপিএলের নিলামে (IPL Auction) ব্য়াটার হিসাবে নাম নথিবদ্ধ করেছিলেন। তবে স্পিনার হিসাবে তিনি বেশ চমকপ্রদ।


গত মার্চে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ‘নারাইন জালালাবাদিয়া’। সেখানে তিনি জানান, তাঁর বাবা মুচির কাজ করতেন। পরিবারের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। নিজে টেনিস বল ক্রিকেট খেলতে খেলতে যে অর্থ উপার্জন করেছেন, তা দিয়েই নিজের পড়াশোনা চালিয়েছেন। বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে-ঘুরে টেনিস বল খেলেছেন। এসেছেন পশ্চিমবঙ্গেও। তারই মধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্সে ট্রায়াল দেন। তারপরই তাঁকে নিলামে নিয়েছে কেকেআর। তারপর কেকেআর কর্তারা যেভাবে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, তাতে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, রমেশের মধ্যে এমন কিছু দেখছে নাইট ব্রিগেড, যার সন্ধান পাননি অন্যরা।


কেকেআর তাঁর সন্ধান পেল কী করে? পঞ্জাবের প্রস্তুতি শিবিরে গিয়েছিলেন রমেশ। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা হয় গুরকিরাত সিংহ মানের। ২০১৬ সালে যিনি ভারতীয় দলের হয়ে তিনটি ওয়ান ডে খেলেছিলেন। মানকে রমেশ তাঁর আর্থিক দুরাবস্থার কথা জানান। সেই সঙ্গে বলেন, যদি কোনও টুর্নামেন্টে খেলার ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। মান তাঁকে জে পি আত্রে টুর্নামেন্টে খেলার ব্যবস্থা করে দেন। সেখানে দুই ম্যাচে ৯ উইকেট নেন রমেশ। সেই পারফরম্যান্সের ভিডিও কেকেআরের মেন্টর অভিষেক নায়ারকে পাঠান গুরকিরাত। তারপরই নড়েচড়ে বসে কেকেআর।