নয়াদিল্লি: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে জোরে বলটি করেছিলেন তিনি। তাঁর বলের গতি সামলাতে হিমশিম খেতেন তাবড় ব্যাটসম্যানেরা। অনেকের কাছেই তিনি ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক।


অথচ সেই পাকিস্তানের ফাস্টবোলার শোয়েব আখতারের বল খেলা খুব একটা কঠিন ছিল না বলে মনে হচ্ছে কবীর কাইফের!

কে এই কবীর কাইফ? ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফের পুত্র। যার মনে হয়েছে, বলের গতি বেশি হওয়ায় আখতারের বলই বরং সহজে সামলানো উচিত ছিল ব্যাটসম্যানদের।

বর্তমানে দেশ জুড়ে লকডাউন চলায় দেশের সমস্ত নাগরিকদের নিজের বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অনুরোধ মেনে আর পাঁচ জনের মতো মহম্মদ কাইফও দিন কাটাচ্ছেন বাড়িতে নিজের পরিবারের সঙ্গে। সময় কাটাতে বাবার সঙ্গে বসে টিভিতে ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের হাইলাইটস দেখেছে কবীর। সেই ম্যাচে নিজের বাবাকে রাওয়ালপিণ্ডি এক্সপ্রেস নামে খ্যাত পাক পেসারের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে দেখে কাইফ পুত্র মন্তব্য করেছে, যেহেতু শোয়েব আখতারের গতি বেশি, তাই তাকে খেলাটাও খুব সমস্যার নয়। বরং গতিকে কাজে লাগিয়ে তাকে তুলনামূলকভাবে সহজেই সামলানো যায়।

বিশ্বের তাবড় ব্যাটসম্যানরা যাঁর বলের গতির সামনে ত্রস্ত হয়ে থাকতেন, সেই আখতারের বোলিং খেলা নাকি তেমন কঠিন নয়, এমনটাই উপলব্ধি একসময় ভারতীয় মিডল অর্ডারের স্তম্ভ মহম্মদ কাইফের পুত্র কবীরের।



ছেলের সঙ্গে খেলা দেখার সেই ভিডিও পোস্ট করে কাইফ লিখেছেন, এখনকার বাচ্চারা বোঝেই না শোয়েব আখতারকে খেলা কতটা কঠিন ছিল। তবে পাল্টা মজা করতে ছাড়েননি আখতার। তিনি ট্যুইট করেন, 'তাহলে কবীর ও আমার ছেলে মিকায়েল আলি আখতারের একটা ম্যাচ হয়ে যাক। তাহলেই ও টের পাবে গতি কাকে বলে।' আখতার আরও লিখেছেন, 'কবীরকে আমার ভালবাসা দিও।' আখতারের সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে গিয়েছেন কাইফ। পাল্টা খোঁচাও দিয়েছেন তিনি ট্যুইট করেছেন, 'তাহলে দুই জুনিয়রের ম্যাচ হোক আর আমরা ফিল্ডিং করি। তাতে কবীরেরই সুবিধা হবে কারণ সেরা ফিল্ডারকে ও দলে পাবে। মিকায়েলকে আমার ভালবাসা দিও।' প্রসঙ্গত, ফিল্ডার হিসাবে কাইফকে বিশ্বের অন্যতম সেরা মনে করা হতো।



২০০৩ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ৬০ বলে ৩৫ রান করেছিলেন কাইফ। পাকিস্তানের রান তাড়া করতে নেমে বীরেন্দ্র সহবাগ ২১ এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ০ রানে ফিরে গেলেও সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে জুটিতে ১০২ রান তুলে ভারতকে ম্যাচে ফিরতে সাহায্য করেন কাইফ। ভারত সেই ম্যাচটি জিতে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখেছিল।