২০১৯ বিশ্বকাপের পর থেকেই ক্রিকেট মাঠে অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন ধোনি। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আইপিএল-এর ঠিক আগে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেন। আইপিএল-এ অবশ্য চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেন ধোনি। তিনি এখনও আইপিএল থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেননি। বরং পরবর্তী মরসুমেও খেলবেন বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। আপাতত কোনও খেলা নেই বলেই হয়তো তিনি চাষের কাজে মন দিয়েছেন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত কয়েকবছর ধরেই বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করছেন ধোনি। তিনি চাষের বিষয়ে ঝাড়খণ্ডের কৃষি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কৃষি দফতরই দুবাইয়ে ফসল পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। দুবাইয়ের একটি সংস্থার সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তিও হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই দুবাইয়ের বাজারে পাওয়া যাবে ধোনির ফলানো ফসল।
দুবাইয়ে ভারতীয় ছাড়াও বাংলাদেশী ও পাকিস্তানিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। তাঁদের কাছে ধোনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। শুধু তাই নয়, এখনও ‘ব্র্যান্ড ধোনি’ অত্যন্ত মূল্যবান। তাঁর এই জনপ্রিয়তা এবং বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গুরুত্বকেই কাজে লাগাতে চাইছেন ধোনি। তিনি এখনও একাধিক সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার। বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় তাঁকে। এবার নিজের তৈরি পণ্যই বিক্রি করতে চলেছেন এই তারকা ক্রিকেটার।
রাঁচির রিং রোডে সেম্বো গ্রামে ধোনির খামারবাড়ি। সেখানেই ফসল ফলাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সফল অধিনায়ক। তাঁর খামারবাড়িতে ১০ একর জমিতে স্ট্রবেরি, বাঁধাকপি, টম্যাটো, ব্রকোলি, কড়াইশুঁটি, পেঁপে সহ বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফসল ফলানো হচ্ছে। সেগুলি দুবাইয়ে পাঠানো হচ্ছে।
ধোনির খামারবাড়ি মোট ৪৩ একর জমি নিয়ে অবস্থিত। তার মধ্যে ১০ একর জমিতেই ফসল ফলানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাঁচির বাজারে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ধোনির খামারবাড়ির বাঁধাকপি, টম্যাটো, কড়াইশুঁটি। এবার দুবাইয়ের বাজারে নিজের খামারবাড়িতে উৎপন্ন হওয়া ফল ও ফসলকে জনপ্রিয় করে তোলাই ধোনির লক্ষ্য।