কলকাতা: ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস। কোয়ার্টার ফাইনালে তাঁরা মুম্বই সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিল এদিন। সল্টলেক স্টেডিয়ামে ডুরান্ডের শেষ আটের লড়াইয়ে এদিন নেমেছিল ২ দল। আইএসএ ও ডুরান্ড মিলিয়ে প্রথমবার মুম্বই সিটিকে হারাল ফেরান্দোর দল। মোহনবাগানের হয়ে তিনটি গোল করেন কামিংস, মনবীর ও আনোয়ার আলি। মুম্বই সিটির হয়ে একটি মাত্র গোল করেন জর্জ পেরেইরা দিয়াস। আগামী ৩১ অগাস্ট সেমিফাইনালে এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামবে সবুজ মেরুন বাহিনী।


এদিন খেলা শুরুর ৭ মিনিটের মাথায় শুরুতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় মোহনবাগান। বক্সে বল নিয়ে এগনোর সময় মুম্বইয়ের গোলরক্ষক কামিংসকে বাজেভাবে ট্যাকল করেন। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি বাঁশি বাজিয়ে পেনাল্টির নির্দেশ দেন। অজি স্ট্রাইকার পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি। প্রথমার্ধে শুরুতেই গোল হজম করার পর কিছুটা বেগ দেয় মুম্বই সিটি। তারা গোলশোধ করে ২৮ মিনিটের মাথায়। গ্রেগ স্টুয়ার্ট এবং অ্যালবার্ট নগুয়েরা নিজেদের মধ্যে পাস খেলে বল দিয়াসের দিকে বাড়িয়ে দেন। সেখান থেকে গোল করেন তিনি। তবে সমতা ফেরালেও মাত্র ২ মিনিট পরেই ফের ম্য়াচে লিড নিয়ে নেয় মোহনবাগান। মনবীর সিংহ গোল করেন সবুজ মেরুনের হয়ে। 


৬৩ মিনিটে জয় নিশ্চিত করার গোলটি করেন এ মরশুমে কলকাতায় আসা ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। এই নিয়ে ডুরান্ডে তিন গোল করে ফেললেন আনোয়ার। গত ম্যাচে জোড়া গোল করা আনোয়ারের তিনটি গোলই করেন হেডে।


এ দিন দুই দলই অসাধারণ দলগত পারফরম্যান্স দেখালেও গোলের সুযোগ কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে মোহনবাগান এগিয়ে থাকায় তারাই জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে। সারা ম্যাচে মুম্বই যেখানে পাঁচটি শট গোলে রাখে, সেখানে তিনটি গোলমুখী শট নেয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। বল দখলের লড়াইয়ে মুম্বই অনেকটাই এগিয়ে (৬১-৩৯) থাকলেও প্রতিপক্ষের গোলের সামনে ব্যর্থতার জন্যই তাদের শেষ পর্যন্ত হারের মুখ দেখতে হল। সপ্তাহ তিনেক পরেই যেখানে তাদের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লড়াইয়ে নামতে হবে, সেখানে এই ধাক্কা তাদের যে চোখ খুলে দেবে, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।


বরং এএফসি কাপের চ্যালেঞ্জের আগে অনেকটা আত্মবিশ্বাস জোগাড় করে নিল মোহনবাগান এসজি। বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে এফসি গোয়ার মুখোমুখি হবে তারা। এই বাধা পেরোতে পারলে ফাইনালে ফের চিরপ্রতিদ্বন্দী ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে তাদের দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতার দুই দলই ডুরান্ড কাপের ফাইনাল থেকে এখন এক ধাপ দূরে।