মুম্বই: ১২ তম আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অভিষেকেই নজর কেড়েছিলেন পেস বোলার রাসিখ সালাম দার। মাত্র ১৭ বছর বয়সে দ্রুতগতিতে বোলিংয়ের ক্ষমতা প্রশংসা আদায় করে নিয়েছিল বিশেষজ্ঞদের। একটি মাত্র ম্যাচ খেললেও তাঁকে উঠতি প্রতিভা হিসেবেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সেই সালাম দারের বয়স নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (জেকেসিএ)-কে রাজ্যের স্কুল এডুকেশন বোর্ড জানিয়েছে যে, ওই ক্রিকেটার তাঁর বয়স ভাঁড়িয়েছেন।
সংবাদসংস্থার হাতে যে নথি এসেছে, তাতে বোর্ড জেকেসিএ-কে জানিয়েছে যে, সালাম দার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে নিজের যে বয়স জানিয়েছে, তার সঙ্গে বোর্ডের রেকর্ডের কোনও মিল নেই (দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য নথিভূক্তিকরণের সময়)।


এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের আগে জেকেসিএ চায় বিসিসিআই বিষয়টি যাচাই করে দেখুক।
গত ৯ জুন সালাম দারকে ইংল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য ভারতের অনূর্দ্ধ ১৯ দলে নেওয়া হয়েছে। ওই ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশও অংশগ্রহণ করবে। রাজ্যে ক্রিকেট বোর্ডের যে জবাব এসেছে, তাতে সালাম দারের ওই সফরে যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
জেকেসিএ-র এক প্রাক্তন সদস্য বলেছেন, অ্যাসোসিয়েশন প্রশাসকদের উপস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, এটা খুবই দুঃখের। তিনি বলেছেন, অ্যাসোসিয়েশনে এখন দুজন প্রশাসক রয়েছেন। কোনও খেলোয়াড় যাতে বয়স না ভাঁড়াতে পারেন তা তাঁদের নিশ্চিত করতে হবে। এটা খুবই খারাপ। কারণ, এর ফলে অন্যান্য উঠতি খেলোয়াড়রা নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়।
সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসকদের কমিটি গত বছরের ১৮ মে-র বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, কোনও প্লেয়ার বয়স ভাঁড়ালে দুই মরশুমের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হতে পারে এবং ফৌজদারি ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে। এরফলে অভিযোগ সত্যি হলে সালাম দারের কেরিয়ার সংকটের মুখে পড়তে পারে।