ওয়েলিংটন : রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ইংল্যান্ডকে (England) এক রানে হারাল নিউজিল্যান্ড (New Zealand)। দ্বিতীয় টেস্টে এই জয়ের হাত ধরে সিরিজ ড্র করে ফেলল কিউইরা। শুধু তা-ই নয়, ইংল্যান্ড ও ভারতের পর, নিউজিল্যান্ড তৃতীয় দল যারা ফলো অনের মুখে পরেও টেস্ট ম্যাচে জিতল। ফলো অন করতে বলা হয়েছে, তার পরেও টেস্ট জয়..এমনটা চার বার হল। ইংল্যান্ড একমাত্র দল হিসাবে এমন পরিস্থিতিতে জয় হাসিল করেছে দুবার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৮৯৪ ও ১৯৮১ সালে। ২০০১ সালে ভারত এই পরিস্থিতি থেকে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। 


৮ উইকেট ৪৩৫ রান করে ইনিংস ডিক্লেয়ার ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু, প্রথম ইনিংসে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি তারা। ২০৯ রানেই শেষ হয়ে যায় কিউইদের ইনিংস। প্রাক্তন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন দলকে লড়াইয়ে টেনে আনেন। তাঁর লড়াকু ১৩২ রানের ইনিংসের মাধ্যমে। সেকেন্ড ইনিংসে ৪৮৩ রান তোলে তারা। ইংল্যান্ডকে ২৫৮ রানের টার্গেট বেঁধে দেয়। কিন্তু, ইংল্যান্ড ২৫৬ রানেই অলআউট হয়ে যায়। আর কিউইদের এই জয়লাভের সাথে সাথে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র হল।


প্রথম ধাক্কাটা আসে ৪৮ রানের মাথায়। এরপর একে একে আরও চার উইকেট খুইয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। মাত্র ২৭ রানের বিনিময়ে। এরপর হাল ধরেন জো রুট। লাঞ্চে যাওয়ার আগে দলকে ১৬৮ রানে তুলে নিয়ে যান। সেই সময় ৫ উইকেট খুইয়ে ইংল্যান্ডের স্কোরবার্ডে ১৬৮ রান। জো রুট ও বেন স্টোকস খাদের কিনারা থেকে দলকে তুলে আনে। দুজনে ১২১ রানের পার্টনারশিপ খেলেন। এরপরেই স্কোয়ার লেগে ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ইংরেজ অধিনায়ক।  


দল তখন ৫৭ রানে পিছিয়ে। ব্যক্তিগত ৯৫ রানের মাথায় আউট হয়ে যান রুট। চাপ বাড়তে থাকে ইংরেজদের ওপর। যদিও দলকে লড়াইয়ে রেখে দেন উইকেটকিপার বেন ফোকস। লড়াকু ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর সাউদের বলে ডিপ ফাইন লেগে ক্যাচে তুলে ওয়াগনারের হাত জমা পড়েন ফোকস। যাবতীয় চাপ গিয়ে পড়ে জেমস অ্যান্ডারসন ও জ্যাক লিচের উপর। তখনও জয়ের জন্য প্রয়োজন ৭ রান। অ্যান্ডারসন এরপর চার মেরে আশা জাগালেও, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হার মানতে হয়।


আরও পড়ুন ; ৪-০ জিতবে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টের আগেই ভবিষ্যদ্বাণী সৌরভের