লখনউ: বিশ্বকাপ শুরুর আগেও তাঁদের নিয়ে খুব একটা কেউ আশা দেখায়নি। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর থেকে একের পর এক চমক দিয়ে এসেছে আফগানিস্তান (Netherlands vs Afganistan) শিবির। তিনটি ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টে সেমিফাইনালের দৌড়েও ভীষণভাবে রয়েছেন রশিদ খানরা (Rashid Khan)। এদিন নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ম্যাচেও ফেভারিট হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন। আর নেদারল্যান্ডসের (Netherlands Cricket) ব্যাটিংয়ের পরও এমনটা বলাই যায় যে খুব একটা অঘটন না হলে এই ম্যাচ থেকেই আফগানরা ২ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরে নিতে পারে। এদিন লখনউয়ের অটল বিহারী বাজপেয়ী স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচে প্রথমে ব্য়াট করতে নেমে ডাচরা ৪৬.৩ ওভারে ১৭৯ রানে অল আউট হয়ে গেল। রশিদ এদিন উইকেট না পেলেও নবি ও নূরের স্পিনের জালে কুপোকাত হতে হল নেদারল্যান্ডসকে।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডাচ অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। ক্রমাগত ব্যর্থ বিক্রমজিতের বদলে এদিন ওয়েসলি বেরসিকে খেলানো হয়েছিল প্রথম একাদশে। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হলেন। ম্যাচের প্রথম ওভারেই মুজিব উর রহমনের বলে লেগবিফোর হয়ে ফিরলেন তিনি মাত্র ১ রান করে। ম্যাক্স ওডড ও কলিম অকারম্যান মিলে দলের স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৪২ রানের ইনিংস খেলেন রান আউট হতে হয় ম্যাক্সকে। ২৯ রান করে রান আউট হন অকারম্যান। অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস খাতাই খুলতে পারেননি। তিনিও রান আউট হন। একমাত্র দলের হয়ে অর্ধশতরান হাঁকান সিব্র্যান্ট। তবে তিনিও রান আউট হয়ে যান ৫৮ রানের মাথায়। নিজেদের পার্টনারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জন্য চারজন এদিন রান আউট হন। নিজের ৫৮ রানের ইনিংস ৬টি বাউন্ডারি হাঁকান সিব্র্যান্ট। লোয়ার অর্ডারে আর কেউই সেরকম রান করতে পারেননি আর।
আফগান বোলারদের মধ্যে এদিন রশিদ খান কোনও উইকেট পাননি। তবে নবীন উল হকের বদলে দলে আসা নূর আহমেদ ২ উইকেট তুলে নেন ৯ ওভারে ৩১ রান খরচ করে। তবে এদিনের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন আফগানদের মধ্যে অভিজ্ঞ মহম্মদ নবি। তিনি ৯.৩ ওভারে মাত্র ২৮ রান খরচ করে ৩ উইকেট তুলে নেন। ১০ ওভারে ৪০ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন মুজিব।
আফগানিস্তান এখনও পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে ৬ নম্বরে রয়েছে। এই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতে নেট রান রেটেও উন্নতি করতে চাইবে শাহিদির দল।