হায়দরাবাদ: বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় ছিনিয়ে নিল পাকিস্তান (Pakistan Cricket Team)। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল বাবর আজমের (Babar Azam) দল। আব্দুল্লাহ শাফিকের পর মহম্মদ রিজওয়ানও (Mohammed Rizwan) সেঞ্চুরি হাঁকালেন। ৩৪৫ রান তাড়া করতে নেমে ১০ বল বাকি থাকতে জয় ছিনিয়ে নেয় পাক শিবির।


হায়দরাবাদে রাজীব গাঁধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। যে ম্যাচে রেকর্ডের ছড়াছড়ি। প্রথমে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা তুলেছিল ৩৪৪/৯। জবাবে ১০ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে এটাই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জেতার নজির। ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩২৮ রান তাড়া করে আয়ার্ল্যান্ডের জয়ের রেকর্ড ভেঙে দিলেন বাবর আজ়মরা।


ওয়ান ডে বিশ্বকাপে এটাই সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয় পাকিস্তানের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে ক্রিকেটে এটা সবচেয়ে বড় রান তাড়া করে জয়। ভেঙে গেল ২০১২ সালে হোবার্টে সিবি সিরিজ়ে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের ৩২১ রান তাড়া করে জয়ের নজির।


ওয়ান ডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অপরাজিত পাকিস্তান। এই নিয়ে মোট ৮ বার বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে হারাল পাকিস্তান। এটাই বিশ্বকাপে কোনও এক দলের বিরুদ্ধে আর এক দলের সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড। দুইয়ে রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ৭-০ জয়।


মঙ্গলবার হায়দরাবাদে সেঞ্চুরি করেন চার ক্রিকেটার – শ্রীলঙ্কার কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সমরাবিক্রমা ও পাকিস্তানের আবদুল্লা শফিক এবং মহম্মদ রিজ়ওয়ান। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে এই নজির আগে কখনও হয়নি। সব মিলিয়ে ওয়ান ডে ক্রিকেটে এক ম্যাচে চার সেঞ্চুরির এটা মাত্র তৃতীয় নজির।


৬৫ বলে সেঞ্চুরি করেন কুশল মেন্ডিস। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে যা শ্রীলঙ্কার দ্রুততম। সব মিলিয়ে পুরুষদের বিশ্বকাপে ষষ্ঠ দ্রুততম। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন কুমার সঙ্গকারা। সেটাই এতদিন ছিল ওয়ান ডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার দ্রুততম সেঞ্চুরি।


ওয়ান ডে বিশ্বকাপে অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি করা প্রথম পাক ক্রিকেটার হলেন আবদুল্লা শফিক। এর আগে ১৯৮৩ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মহসিন খানের ৮২ রানের ইনিংসই ছিল পাকিস্তানের রেকর্ড।


মঙ্গলবার রিজ়ওয়ান ও শফিক ১৭৬ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে যা পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের রেকর্ড সঈদ আনোয়ার ও ওয়াজাহাতুল্লাহ ওয়াস্তির ১৯৯৯ সালের সেমিফাইনালে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে তোলা ১৯৪ রান।


কেরিয়ারে ১২টি মাত্র ওয়ান ডে ম্যাচে ওয়াইড বল করে ৯১ রান হজম করেছেন মাথিশা পাথিরানা! যার মধ্যে হায়দরাবাদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই ওয়াইড বলে ১৮ রান খরচ করেছেন। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান। তবে অনেক পিছনে তিনি। ৩৪ রান ওয়াইড বল করে হজম করেছেন আফগান স্পিনার।


চলতি বছরে হায়দরাবাদে হওয়া চারটি ওয়ান ডে ম্যাচে ৫ ইনিংসে ৩২০-র বেশি রান উঠল। এক ক্যালেন্ডার বর্ষে এর চেয়ে বেশি তিনশোর ওপর স্কোর ওঠার নজির রয়েছে একমাত্র ট্রেন্ট ব্রিজের। ২০১৯ সালে ৫টি ওয়ান ডে ম্যাচে ৬টি তিনশোর বেশি রানের ইনিংস হয়েছিল ইংল্যান্ডের ওই মাঠে।


আরও পড়ুন: ABP Exclusive: ধোনি বিশ্বকাপ জিতেছে, ওর কৃতিত্ব আমার চেয়েও বেশি, দরাজ প্রশংসায় সৌরভ


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial