চেন্নাই : পেন্ডুলামের মতো একাধিকবার ঘুরল ম্যাচের ভাগ্য। জেতার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে থাকলেও পাকিস্তানের বোলারদের দুরন্ত লড়াই মেলে ধরলেন। শেষপর্যন্ত ১ উইকেটে হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে জিতে নিল প্রোটিয়া। ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথমবার টানা ৪ ম্যাচে হারল পাকিস্তান।


যে হারে তাদের সেমিফাইনালে ওঠার অঙ্ক কঠিন হলেও এখনও সমীকরণে অঙ্কের খাতিরে ঝুলে রইলন বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদিরা। অপরদিকে, পাক শিবিরকে টেক্কা দিয়ে পঞ্চম জয়ের সুবাদে ও রান রেটের নিরীখে ভারতকে টপকে এই মুহূর্তে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে পৌঁছে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও প্রোটিয়াদের এটি ছিল ষষ্ট ম্যাচ। ভারত খেলেছে ৫ ম্যাচ।


প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৬.৪ ওভারে ২৭০ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে আইডেন মারক্রাম ও ডেভিড মিলসারের ব্যাটিং তাণ্ডবে একসময় দারুণভাবে জয়ের পথে এগোচ্ছিল প্রোটিয়ারা। যদিও সেই সময় দুরন্ত পেস বোলিংয়ের নমুনা মেলে ধরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কোণঠাসা করে দেয় পাকিস্তান শিবির। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ১ উইকেটে ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। 


প্রথমে মার্কো ইয়ানসেন, নুঙ্গি এনগিডিদের পেস দাপটের পর এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে কামাল দেখান প্রোটিয়ার স্পিনার তাবরিজ শামসি। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরাও হন তিনি। পাক অধিনায়ক বাবর আজম (৫০), শক সাকিল (৫২) ও শাদাব খান (৪৩) ছাড়া সেভাবে কেউ বড় রান করতে পারেননি পাকিস্তানের পক্ষে। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষের আগেই ২৭০ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। 


জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটাই দুরন্ত হয়নি। দুর্ষর্ধ ছন্দে থাকা কুইন্টন ডি কক (২৪), রাসি ভান ডার ডুসেন (১২) বা হেনরিখ ক্লাসেনরা (১২) বড় রান পাননি। যদিও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে ওঠেন আইডেন মারক্রাম। তাঁকে মাঝে যোগ্য সঙ্গত করেন ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেনরা। যদিও শাহিন শাহ আফ্রিদি, হ্যারিস রাউফরা একে একে প্রোটিয়া ব্যাটারদের সাজঘরে ফিরতে শুরু করার পর প্রোটিয়া শিবিরে বইতে শুরু করে ঠাণ্ডা স্রোত। যে সময় কার্যত ম্যাচে চেপে বসেছিল পাকিস্তান। যদিও শেষলগ্নে মাথা ঠাণ্ডা রেখে ম্যাচ বের করেন নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তুল্যমূল্য লড়াইয়ের শেষে ১ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। 


আরও পড়ুন- ইডেনে এলেও প্র্যাক্টিস করলেন না শাকিব, বিতর্কের মুখেও নির্লিপ্ত