লন্ডন: ঐতিহাসিক লর্ডসে টেস্ট অভিষেক। আর ইংল্যান্ডের জার্সিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেকেই অলি রবিনসন নজর কেড়ে নিয়েছেন বল হাতে। নিউজ়িল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে চার উইকেট পেয়েছিলেন। কিউয়িদের দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর শিকারের ঝুলিতে তিন উইকেট। সব মিলিয়ে অভিষেক ম্যাচে ৭ উইকেট। তবু বড়সড় শাস্তি পেতে চলেছেন রবসন। নির্বাসন তো হচ্ছেই, হয়তো মোটা অঙ্কের জরিমানাও গুনতে হতে পারে ইংরেজ পেসারকে।
লর্ডসে দুরন্ত পারফর্ম করার পরেও কেন উইলিয়ামসনদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে বাদ পড়তে চলেছেন রবিনসন। কিন্তু কেন? ক্রিকেটীয় কোনও কারণে নয়। আচমকাই রবিনসনের পুরোনো কিছু ট্যুইট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যেখানে ৮-৯ বছর আগে ১৮ বছরের রবিনসনকে একের পর এক বর্ণবিদ্বেষী ট্যুইট করতে দেখা গিয়েছে। আচমকাই বিপাকে পড়েছেন ইংরেজ পেসার। দীর্ঘদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর করা বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য হঠাৎই ভাইরাল হয়েছে। এরপরেই নড়েচড়ে বসেছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ড।
কী রয়েছেন রবিনসনের সেই পুরনো ট্যুইটগুলিতে? সেখানে কখনও ‘মুসলিমদের বোমা’, কখনও আবার কৃষ্ণাঙ্গদের ইবোলা ভাইরাসের সঙ্গে তুলনা করেছেন। সেই সমস্ত আপত্তিকর ট্যুইট ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরে প্রথম দিনের খেলার শেষে নিজেই ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন রবিনসন। তবে তাতেও বাঁচলেন না তিনি। নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টেই বাদ পড়তে চলেছেন তিনি।
২০১৩ সালে কেন্ট ছেড়ে ইয়র্কশায়ারে সই করেন রবিনসন। তখনই বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যগুলি করেন। ব্যাপারটা তখন নজরে আসেনি কারওরই। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড মাঠে নামার কয়েক ঘণ্টা পর মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। আসরে নামতে হয় ইসিবি-কে। বিবৃতি জারি করে তারা জানিয়ে দেয়, বর্ণবিদ্বেষ সংক্রান্ত যে কোনও কাজের বিরোধী তারা। পুরনো ঘটনা হলেও শাস্তি পেতে হবে রবিনসনকে। রবিনসন নিজে এই ঘটনায় যথেষ্ট অনুতপ্ত। ইতিমধ্যেই তিনি নেটমাধ্যমে বিবৃতি জারি করে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে শাস্তি এড়াতে পারলেন না তিনি। দুরন্ত অভিষেকের পরই নির্বাসনে কাটাতে হবে তাঁকে।