প্যারিস: জার্মানির বিরুদ্ধে হকির সেমিতে হেরে সোনা ও রুপো জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। কিন্তু ব্রোঞ্জ জয়ের সুযোগ ছিল। সেই সুযোগ হাতছাড়া করলেন না ভারতীয় হকি দল। স্পেনের বিরুদ্ধে ব্রোঞ্জ জয়ের ম্য়াচে ২-১ গোলে জয় ছিনিয়ে নিল হরমনপ্রীত সিংহের দল। নিজের শেষ আন্তর্জাতিক ম্য়াচে অলিম্পিক্স পদক জিতে নিলেন শ্রীজেশ। টোকিও অলিম্পিক্সেও ব্রোঞ্জ এসেছিল ভারতীয় হকি দলের ঝুলিতে। প্যারিসও ব্রোঞ্জ এল। একই সঙ্গে এবারের অলিম্পিক্সে চতুর্থ পদক জিতে নিল ভারত। হকিতে অলিম্পিক্সের মঞ্চে এই নিয়ে ১৩ তম পদক জিতে নিলে ভারতীয় হকি দল। ১৯৬৮ ও ১৯৭২ পরপর দুবার অলিম্পিক্সে পদক জিতেছিল ভারত। এরপর ৫২ বছর পর ফের টানা দুটো অলিম্পিক্সে পদক জিতল টিম ইন্ডিয়া। 


এদিন শুরু থেকেই ভারত কিছুটা ফেভারিট হিসেবেই নেমেছিল ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে। সকালেই ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য দুঃখের খবর ছিল বিনেশের অবসরের খবর প্রকাশ্যে আসা। কিন্তু সময় যত এগল ততই প্রথমে কুস্তিতে আমনের সেমিতে পৌঁছানো ও পরে হকিতে এবার ব্রোঞ্জ জয় স্পেনকে হারিয়ে। ম্য়াচের শুরু থেকেই বারবার স্পেনের সার্কেলের ভেতরে আঘাত হানছিলেন ভারতীয় হকি প্লেয়াররা। আগের ম্য়াচে খেলতে পারেননি অমিত রোহিদাস। এদিন তারকা এই ডিফেন্ডার একাদশে ফিরে আসার পর ভারত আরও শক্তিশালী হয়ে কোর্টে নেমেছিল। প্রথম কোয়ার্টারে ৮ মিনিটের মাথায় ভারতের ২ নির্ভরযোগ্য হকি প্লেয়ার গুরযন্ত ও মনপ্রীত চোট পান। কিন্তু প্রথম কোয়ার্টারে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে ১৮ মিনিটর মাথায় হঠাৎ আক্রমণে এসে পেনাল্টি কর্নার জিতে নেয় স্পেন। সেখান থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মার্ক মিরালেস। কিন্তু দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শেষে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোলশোধ করে দেন হরমনপ্রীত সিংহ। মাত্র ২১ সেকেন্ড আগেই গোলশোধ করেন ভারত অধিনায়ক।


তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই গোল পেয়ে যায় ভারত। এগিয়ে যায় তাঁরা। ৩৩ মিনিটের মাথায় ফের একবার পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করেন হরমনপ্রীত। অধিনায়কের জোড়া গোলে ম্য়াচে জয় নিশ্চিত করে ফেলেছিল ভারত। কিন্তু বাকি দুটো কোয়ার্টার বাকি ছিল। তাই কিছুটা ডিফেন্সে শক্ত থাকতেই হত ভারতকে। স্পেন বারবার আক্রমণ করছিল ভারতের সার্কেলের দিকে। কিন্তু হার্দিক, অভিষেক, জারমনপ্রীতরা মিলে ডিফেন্স ভাঙতে দেননি। শেষ পর্যন্ত ভারত ম্য়াচ জিতে অলিম্পিক্সে আরও একটি পদক ঝুলিতে পুরে নিল।