সিডনি: এশিয়া কাপের আগে ছবিটা একদম আলাদা ছিল। ব্যর্থতা গ্রাস করে বসা বিরাট কোহলিকে কয়েক ধাপ পেছনে ফেলে দিয়েছিলেন বাবর আজম। বিরাটের থেকে বয়সে অনেক ছোট হলেও বিশ্ব ক্রিকেটে তাঁর ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য অনেকেই বলছিলেন যে কোহলিকেও টেক্কা দিয়ে দেবেন বাবর। আড়াই বছর ধরে ব্যাট হাতে কোনও সেঞ্চুরি ছিল না বিরাটের। সেই সময় বাবর নিজেও প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের পাশে দাঁড়িয়ে ট্যুইট করেছিলেন। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও বলতে শুরু করেছিলেন যে বিরাটকে টেক্কা দিয়ে দেবেন বাবর। এমনকী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাবর আজমকে পাক ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ বলেছিলেন অনেকে। বোলারদের ত্রাস হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু এরপর এশিয়া কাপের পর থেকেই চিত্রনাট্য বদলে যায়।


এশিয়া কাপে বাবর আজম রান পাননি। অন্যদিকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেই সেই টুর্নামেন্টে ঝোড়ো শতরান হাঁকিয়েছিলেন বিরাট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বিরাট যেখানে একের পর এক অর্ধশতরান হাঁকিয়ে চলেছেন, সেখানে বাবর আজম ব্যাট হাতে ন্যাকানিচোবানি খাচ্ছেন। অর্থাৎ কিং কোহলি ফের স্বমহিমায় ফিরলও বাবর কিন্তু ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরাও বাবরের ব্যাটিং ও তাঁর নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৫ বলে মাত্র ৬ রান করে আউট হন। এরপরই সোশাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হন বাবর।


 






 






 






প্রথমে ব্যাটিং পাকিস্তানের


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়ক বাবর আজম। গোটা টুর্নামেন্টেই এবার ফ্লপ পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি বাবর ও রিজওয়ান। এদিনও তার ব্য়তিক্রম হল না। আরও একবার ব্যর্থ হলেন তাঁরা। মাত্র ৪ রান করে ফেরেন মহম্মদ রিজওয়ান। ১৫ বলে ৬ রান করে ফেরেন বাবর আজম। মহম্মদ হ্যারিস ২৮ রানের ইনিংস খেলে নোখিয়ার বলে আউট হন। এরপরই শাদাব ও ইফতিকার মিলে পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। প্রথম জন ২২ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ৩টি বাউন্ডারি ও চারটি ছক্কা হাঁকান। অন্য়দিকে ইফতিকার ৩৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলেন ৩টি বাউন্ডারি ও ২টো ছক্কার সাহায্যে। একটা সময় ৪৩ রানে ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তানের। সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত ১৮৫ বোর্ডে তুলে নেয় পাক শিবির।