করাচি: পাকিস্তান সুপার লিগে করোনার থাবা। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ফাওয়াদ আহমেদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। গতকাল সন্ধেবেলা ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ম্যাচের ঠিক আগে ফাওয়াদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে। এরপর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যাচটি ২ ঘণ্টার জন্য পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে পরে জানানো হয়, ম্যাচটি হবে আজ সন্ধেবেলা। 

পিসিবি-র পক্ষ থেকে প্রথমে ট্যুইট করে জানানো হয়, একজন ক্রিকেটারের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। দুদিন আগে তাঁর শরীরে উপসর্গ দেখা যায়। তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁর দলের অন্যান্য সদস্যদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বিপক্ষ দলটির সদস্যদেরও করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ম্যাচ শুরু হবে রাত ৯টা থেকে। তবে এর কিছুক্ষণ পরেই ট্যুইট করে জানানো হয়, কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স-ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের ম্যাচটি শুরু হবে মঙ্গলবার পাকিস্তানের সময় অনুযায়ী সন্ধে সাতটায়।
[tw]




[/tw]


ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, আমাদের একজন খেলোয়াড় ফাওয়াদ আহমেদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। দুদিন আগেই তাঁকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের অন্যান্য খেলোয়াড় ও সদস্যদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমরা ফাওয়াদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।


ফাওয়াদ ট্যুইট করে ক্রিকেটপ্রেমীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, শুভেচ্ছাবার্তার জন্য প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই। দয়া করে আমার জন্য প্রার্থনা করুন। সবাই সুরক্ষিত থাকুন।


২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এবারের পাকিস্তান সুপার লিগ। এতদিন ভালভাবেই চলছিল এই টি-২০ লিগ। এই প্রথম একজন ক্রিকেটার করোনা আক্রান্ত হলেন। এর আগে কোয়ারেন্টিন সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন করেন পেশোয়ার জালমির অধিনায়ক ওয়াহাব রিয়াজ ও প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি। তবে তাঁদের করোনা পরীক্ষার দুটি রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় দলে যোগ দেওয়ার অনুমতি দেয় পিসিবি।

পাকিস্তানে করোনা-সতর্কতা সংক্রান্ত নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। টিকা দেওয়ার কাজও ঠিকমতো হচ্ছে না। এর ফলে ফের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। পাকিস্তানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসেবেই প্রায় ৬ লক্ষ। মৃত্যু হয়েছে ১২,৮৯৬ জনের। এই পরিস্থিতিতে অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলি ফের খুলে যাওয়ার কারণেই সংক্রমণ অনেক বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।