রাজকোট: প্রত্যাশা ছিল, কিন্তু এবারও বাংলার ভারতসেরা হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থাকল। রাজকোটে সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশেন স্টেডিয়ামে বাংলার ভারতসেরা হওয়ার স্বপ্নের সলিল সমাধি হল। প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানে এগিয়ে থেকে জয়ের দোরগোড়ায় জয়দেব উনাদকাটের দল। সৌরাষ্ট্রের জয় এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। দ্বিতীয় ইনিংসে সৌরাষ্ট্র ব্যাট করতে নামলেও এটা কার্যত নিয়মরক্ষা।





শুক্রবার ম্যাচের শেষ দিন যে আশার আলো নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও অর্ণব নন্দী, তা খেলা শুরুর ৮ বলের মধ্যেই ঘোর অন্ধকারে পরিণত হয়। জয়দেব উনাদকাটের এক ওভারেই খেলা পুরোপুরি ঘুরে যায়। ৬৩ রানে জয়দেব উনাদকাটের বলে অনুষ্টুপের এলবিডব্লুউ হয়ে ফিরে যাওয়া। আর তারপর  আকাশ দীপের রানআউট। ডানহাতি পেসার আউট হলেন শিক্ষানবিশদের মতো। ভোরের আলো ফোটার মতো যে ঔজ্জ্বল্য বাংলা শিবিরে ছিল, বেলা গড়াতেই তা ফ্যাকাশে থেকে আরও ফ্যাকাশে হতে থাকল।


১৬ বল পর্যন্ত মুকেশ কুমারের ক্রিজে টিকে থাকা আর সেই উইকেট পড়তেই একেবারে কফিন বন্দি হয়ে যায় বাংলার রঞ্জি জয়ের স্বপ্ন। ব্যাট হাতে অর্ণব লড়েছেন ঠিকই, তবে নায়ক হয়ে ফিরতে পারেননি। তিনি ৪০ রানে অপরাজিত থাকলেও ঈশান পোড়েলের উইকেট পড়তেই প্রথমবার সৌরাষ্ট্রের রঞ্জি জয়ের ইতিহাস লেখা হয়ে যায় রাজকোটে।


বাংলার ইনিংস শেষ হয় ৩৮১ রানে। রাজকোটে টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন সৌরাষ্ট্রের অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট। প্রথম ইনিংসে বাংলার বিরুদ্ধে ৪২৫ রান তোলে সৌরাষ্ট্র। প্রথম ইনিংসে বাংলা তোলে ৩৮১। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় (৮১), ঋদ্ধিমান সাহা (৬৪) লড়াকু ইনিংস খেললেও শেষ হাসি হাসেন চেতেশ্বর পূজারা, জয়দেব উনাদকাটরাই।


প্রসঙ্গত, গত আট বছরে এটা নিয়ে চারবার রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল খেলছে সৌরাষ্ট্র। গত মরসুমে ফাইনালে উঠে বিদর্ভের কাছে হেরেছিল তারা। সেবার ভারতসেরা হয়েছিল বিদর্ভ। অন্যদিকে, ২০০৬-০৭ মরসুমে শেষবার ফাইনালে উঠেছিল বাংলা। শেষবার বাংলা রঞ্জি জিতেছিল ১৯৯০ সালে। তিন দশক পর বাংলার সামনে ছিল তাদের হারানো গৌরব পুনরদ্ধারের সুযোগ। কিন্তু তা হল না।