কলকাতা: বঢোদরার বিরুদ্ধে সুযোগ ছিল। কিন্তু ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েও ৭৯ রান করে ফিরতে হয়েছিল ড্রেসিংরুমে। রান পাননি হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও। ভেতর ভেতর ছটফট করছিলেন। এবিপি লাইভকে হায়দরাবাদ ম্যাচের শেষেই জানিয়েছিলেন, ব্যাটিং ভাল হচ্ছে না। রঞ্জি (Ranji Trophy) জিততে গেলে বড় স্কোর করতেই হবে।
অভিমন্যু ঈশ্বরণ (Abhimanyu Easwaran) যে বড় রানের জন্য কতটা মরিয়া ছিলেন, তার প্রমাণ পাওয়া গেল বৃহস্পতিবার। চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে ঝকঝকে সেঞ্চুরি করলেন। ১৭২ বলে ১১৪ রান করে ড্রেসিংরুমে ফেরেন বাংলার অধিনায়ক। তবে সেঞ্চুরি করেও তৃপ্ত নন অভিমন্যু। বরং নিজের ওপর কিছুটা হতাশ যেন।
কেন?
ভারতীয় এ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সেঞ্চুরি করে ফিরে নির্বাচকদের যতটা প্রভাবিত করেছিলেন, রঞ্জির প্রথম দুই ম্যাচে বড় রান না পেয়ে যেন তা কিছুটা ম্লান। প্রতিদ্বন্দ্বীদের অনেকেই বড় রান করে ফেলেছেন। রঞ্জির অভিষেক ম্যাচে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করে হইচই ফেলে দিয়েছেন ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক যশ ধুল। তাই সেঞ্চুরি নয়, অভিমন্যু যেন আরও বড় কিছুর স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাই আউট হয়ে হতাশ বঙ্গ অধিনায়ক।
অভিমন্যু বলছেন, 'নিজের খেলায় একদমই সন্তুষ্ট নয়। বড় রান করার সুযোগ ছিল। দলকে আরও ভাল জায়গায় নিয়ে যেতে পারতাম। সেই সুযোগ হারালাম।'
তবে চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ম্যাচের প্রথম দিনই তিনশো পেরিয়ে গিয়েছে বাংলার স্কোর। যা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে অভিমন্যুকে। প্রথম দিন ৮৫ ওভারের শেষে বাংলার স্কোর ৩২৯/৬। অভিমন্যু বলছেন, 'প্রথম দিন তিনশো পেরতে পেরে ভাল লাগছে। আমরা সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছি। এবার ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।'
তবে অভিমন্যু মনে করেন, আর ২ উইকেট কম হারালে আরও ভাল জায়গায় থাকা যেত। বলেছেন, 'ব্যাটে সন্তোষজনক পারফরম্যান্স হয়েছে। তবে আর দু'উইকেট কম হারালে ভাল হতো।' অভিমন্যু সেঞ্চুরি করলেও মাত্র ৫ রানের জন্য তিন অঙ্ক স্পর্শ করা হয়নি অনুষ্টুপ মজুমদারের। ফেরেন ৯৫ রানে। দিনের শেষে মনোজ তিওয়ারি ৪২ ও সায়নশেখর মণ্ডল ৩৩ রানে অপরাজিত। অভিমন্যু বলছেন, 'অনুষ্টুপের ইনিংসটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ওর আর আমার পার্টনারশিপ বেশ জমে গিয়েছিল। পরে মনোজ তিওয়ারি ও সায়ন শেখর মণ্ডলও ভাল জুটি তৈরি করেছে। আমাদের জন্য দিনটা ভাল গিয়েছে। তবে চেষ্টা করতে হবে প্রথম ইনিংসে যতটা সম্ভব বেশি রান তুলে রাখার।'
পিচে পেসারদের জন্য সাহায্য রয়েছে। বোর্ডে বড় রান তুলে প্রতিপক্ষকে দ্রুত অল আউট করে ঝাঁপাতে চায় বঙ্গ শিবির।