কটক: তিনি যেন বাংলার ক্রাইসিস ম্যান। দল যখনই বিপদে পড়ছে, ব্যাট হাতে রুখে দাঁড়াচ্ছেন। তাঁর ছিপছিপে শরীরে যেন লড়াইয়ের মন্ত্র সুপ্ত। দল কোণঠাসা হয়ে পড়লেই যেন তাঁর দক্ষতা প্রতিফলিত হয় বাইশ গজে।
সেই শাহবাজ আমেদ (Shahbaz Ahmed) শনিবার ফের একবার ব্যাট হাতে বাংলার পরিত্রাতা হয়ে উঠলেন। কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে করলেন ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৮৭ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেললেন শাহবাজ। তাঁর ইনিংসে ছিল চারটি চার। তিনিই বাংলার দ্বিতীয় ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলা অল আউট হল ২০১ স্কোরে। সব মিলিয়ে হায়দরাবাদের চেয়ে ২৩৮ রানের লিড নিয়ে শেষ হল বাংলার ইনিংস। সরাসরি ম্যাচ জিততে হায়দরাবাদের লক্ষ্য ২৩৯ রান। বাংলার চাই ১০ উইকেট। শনিবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ছিল। রবিবার শেষ দিন কোন দল হাসি মুখে মাঠ ছাড়বে, তা নির্ধারিত হয়ে যাবে।
শুক্রবার প্রতিপক্ষকে বাগে পেয়েও আয়ত্ত্বে আনতে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলা (Bengal)। কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদের টেলএন্ডারদের লড়াইয়ের জেরে বড় লিড নিতে ব্যর্থ হয়েছিল বঙ্গব্রিগেড। মুকেশ কুমারদের (৪/৪৯) দাপটে একসময় ৭০ রান তুলতে গিয়েই ৭ উইকেট খুইয়ে ফেলেছিল হায়দরাবাদ। কিন্তু সেখান থেকে শেষ ৩ উইকেটে ১৩৫ রান জোড়েন হায়দরাবাদের টেলএন্ডাররা। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) দ্বিতীয় ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের শেষে ব্যাট করতে নেমে সুদীপ ঘরামির (০) উইকেট হারিয়ে ১৬ রান তুলেছিল বাংলা। ক্রিজে ছিলেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ (অপরাজিত ১০) ও ঋত্বিক রায়চৌধুরী ( অপরাজিত ৩)।
শনিবার অভিমন্যু ২৪ রান করে ফেরেন। ঋত্বিকের অবদান ৪১। সায়নশেখর মণ্ডল ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েও ১৭ রানে আউট হন। দুর্ভাগ্যও কিছুটা তাড়া করেছে বাংলাকে। মনোজ তিওয়ারি ১০ রানে ও হইচই ফেলে দেওয়া নবাগত উইকেটকিপার-ব্যাটার অভিষেক পোড়েল কোনও রান না করেই রান আউট হয়ে যান। দলের ইনিংসের হাল ধরেন অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার ও শাহবাজ। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে ৬৫ রান যোগ করেন। ব্যক্তিগত ৪২ রানের মাথায় ফেরেন অনুষ্টুপ। শাহবাজ ৫১ করে আউট হন। ২০১ রানে শেষ হয় বাংলা। হায়দরাবাদ বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট তনয় ত্যাগরাজন ও তিলক বর্মার।