বেঙ্গালুরু: প্রথমবার রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন (Ranji Trophy Champion)। আনন্দে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি মধ্যপ্রদেশ কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। প্রায় ২ দশক আগে একটা স্বপ্নভঙ্গ হয়ে দেখেছিলেন। সেদিন অধিনায়ক (Captain) হিসেবে দলকে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন (Champion) করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তবে এবার কোচ হিসেবে খেতাব জয় করলেন। ম্যাচ জিতেই পরবর্তী লক্ষ্য ঠিক করে ফেলেছেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। তিনি বলেন, ''এটা এক দারুণ স্মৃতি হয়ে রইল। ২৩ বছর আগে এই মাঠ থেকেই বেরিয়ে গিয়েছিলাম খেতাব জিততে না পেরে। ঈশ্বরের আশীর্বাদে সেখানেই ফিরে আসতে পারলাম। অধিনায়ক হিসেবে আমি যা করতে পারিনি, তা করে দেখাল আদিত্য শ্রীবাস্তবের দল। মধ্যপ্রদেশের দায়িত্ব নেওয়া প্রসঙ্গে পণ্ডিত বলেন, ''আমি সব সময় চ্যালেঞ্জিং কাজ নিতে ভালোবাসি। এই দলে অনেক তরুণ ক্রিকেটার রয়েছেন। এই রাজ্যে ক্রিকেটীয় সংস্কৃতির বিকাশ ঘটানোই লক্ষ্য। আমি এখানে খেলেছি, জানি এখানকার সংস্কৃতি।''


অধিনায়ক আদিত্যর সমর্থনে মুখ খুললেন পণ্ডিত


ভারতীয় ক্রিকেটারদের কাছে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত চান্দু স্যার নামেই পরিচিত। সবসময়ই দলের ছেলেদের আগলে রাখেন। সাংবাদিক বৈঠকে পাশে মদ্যপ্রদেশের কোচ আদিত্য শ্রীবাস্তবকে পাশে নিয়ে বসেছিলেন। জানেন এই মরসুমে আদিত্যর ব্যাটে রান নেই। পণ্ডিত বলেন, ''এটা ঠিক যে, আদিত্য খুব বেশি রান করতে পারেনি। কিন্তু ও দুর্দান্ত অধিনায়ক। মাঠে ওর ক্রিকেটীয় বুদ্ধি, কৌশল আমাদের অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে দিয়েছে। নেতৃত্বের জন্যই ওকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখার কথা ভাবিনি। সাজঘরের পরিকল্পনা মাঠে দারুণ ভাবে বাস্তবায়িত করেছে। ব্যাট হাতে কম রান করলেও ওর অবদান খুবই গুরুত্বপর্ণ। ওর প্রতি সব সময় আস্থা ছিল।"


৪ উইকেটে মুম্বই বধ মধ্যপ্রদেশের


ম্যাচের শেষ দিনে মাত্র ১০৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে বেশি কষ্ট করতে হয়নি মধ্যপ্রদেশের ব্য়াটারদের। ৪ উইকেট হারালেও জয় আটকায়নি তাদের। রজত পাতিদার ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন। আদিত্য শ্রীবাস্তব অবশ্য অপরাজিত থাকেন ১ রানে। এছাড়া হিমাংশু মন্ত্রী ৩৭ করেছেন, শুভম শর্মা করেছেন ৩০ রান। মুম্বইয়ের শামস মুলানি ৩ উইকেট নিয়েছেন।