কলকাতা: ম্যাচের আগেই পিচ বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। ওড়িশার বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের প্রথম দিনে মাত্র ৩৫ ওভারই খেলা সম্ভব হল। গ্রুপ এ-র ম্যাচে এদিন ওড়িশা প্রথমে ব্য়াটিং করতে নেমে ৩৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৯৬ রান বোর্ডে তুলে নেয়। ওড়িশার ওপেনার শান্তনু মিশ্রা ৪১ রান করেন। আরেক ওপেনার অনুরাগ সারাঙ্গি ১৫ রান করেন। সন্দীপ পট্টনায়েক ৩০ রান করেন। বাংলার পেসারদের মধ্যে আকাশ দীপ ও মুকেশ কুমার ১টি করে উইকেট নেন।
এদিনের খেলা শেষে বাংলার কোচ লক্ষ্মরতণ শুক্ল বলেন, ''দল হিসেবে ম্যাচে কী হচ্ছে, তার দিকেই মনোনিবেশ করতে চাই আমরা। নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী খেলতে চাই। আমরা আগামীকাল সকালে দ্রুত প্রতিপক্ষের বাকি উইকেট গুলো তুলে নিতে চাই। আমাদের বোলাররা ভাল পারফর্ম করেছে।''
জানা যাচ্ছে, ম্যাচের আগের দিন অর্থাৎ গতকাল কিউরেটর পিচে অতিরিক্ত জল দিয়ে ফেলেছিলেন। তাই পিচ এখনও ভিজে। যার ফলস্বরূপ, বাংলা-ওড়িশার ম্যাচের প্রথম সেসন শুরু করা যায়নি।
বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, রঞ্জির প্রত্যেক ম্যাচে নিরপেক্ষ কিউরেটর পিচ তৈরি করেন। সেই অনুযায়ী, পিচ প্রস্তুতির দায়িত্বে ছিলেন সার্ভিসেসের অশোক বর্মা। যাকে বোর্ড থেকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পিচ প্রস্তু করার। তার জন্যই এই বিপত্তি বলে অভিযোগ বাংলা শিবিরের।
অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি ম্যাচের আগের দিনই পিচ নিয়ে বোমা ফাটিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, উইকেট ঠিকঠাক প্রস্তুত করা হয়নি। ফলে, ভাল ক্রিকেট আশা করা উচিত নয়। প্র্যাক্টিস পিচ নিয়েও অসন্তোষ জানিয়েছিলেন মনোজ। অনুশীলনের সময় পেটে বল লেগে চোটও পান আকাশ দীপ।
সিএবি-র আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পরে-
কিন্তু, কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল ? দায় কার ? এনিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। তবে, বৃষ্টি না হওয়া সত্ত্বেও, সাম্প্রতিক সময়ে ইডেন গার্ডেন্সে রঞ্জি ট্রফির খেলা শুরু করা যায়নি বলে কেউ মনে করতে পারছেন না। অদ্ভুত এই পরিস্থিতিতে হতবাক ক্রিকেট মহল। সিএবি কর্তারা জানিয়েছেন, পরে তাঁরা এনিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দেবেন।
কোয়ার্টারের ফাইনালে ইতিমধ্যেই যোগ্যতা অর্জন করে ফেলেছে বাংলা। ফলে, এটা নিয়মরক্ষার ম্যাচ তাদের কাছে। যদিও এই ম্যাচের পয়েন্টের ওপর বাংলা গ্রুপ শীর্ষে থাকবে কি না সেটা নির্ভর করছে। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলার প্রতিপক্ষ কে হবে নির্ভর করছে এই ম্যাচের ফলাফলের ওপর। এই পরিস্থিতিতে ম্যাচ শুরু না হওয়ায় বিব্রত বাংলার ক্রিকেটাররা।