সেন্তিয়াগো বের্নাব্যু: মাহরেজের বলটি যখন কুর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়িয়েছিল, তখন গোটা স্টেডিয়াম নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। তাহলে কি এখানেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে? অন্তত সম্ভাবনা তেমনই তৈরি হয়েছিল। তবে কার্লোস আনসেলোত্তিকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে তিনি পিছিয়ে আছেন। মগজাস্ত্রে শান দিয়ে নামালেন সুপার সাব রিডরিগোকে। ব্যস, খেলা ঘুরল সেখানেই। শুধু ম্যাচে সমতা ফেরানোই নয়, দলকে জিতিয়ে দিলেন পরপর ২ টো গোল করে। পিছিয়ে থেকেও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন লস ব্ল্যাঙ্কোসদের। শেষ দিকে বেঞ্জেমা কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন পেনাল্টি থেকে গোল করে। সেমিফাইনালের ২ লেগ মিলিয়ে ৬-৫ ব্যবধানে সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছে গেল রিয়াল। ফাইনালে লিভারপুলের মুখোমুখি হবে তারা। 


কীভাবে জয় ছিনিয়ে নিল রিয়াল


এর আগে পিএসজির বিরুদ্ধেও পিছিয়ে গিয়ে ফিরে এসেছিল রিয়াল। চেলসির বিরুদ্ধেও ম্যাচে ফিরেছিল একইভাবে। এদিন ম্যান সিটির বিরুদ্ধেও তারই পুনরাবৃত্তি হল। রিয়ালের ঘরের মাঠ। অথচ চাপ ছিল বেঞ্জেমাদের ওপরই। প্রথম লেগে জয়ের জন্য এগিয়ে থেকে এদিন ম্যাচে খেলতে নেমে গুয়ার্দিওয়ালার দল। প্রথমার্ধে ২ দলই কোনও গোল করতে পারেনি। 


দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল সমর্থকদের চিৎকার থামিয়ে দিয়ে গোল করে বসেন সিটির রিয়াজ মাহরেজ। ৭৩ মিনিটের মাথায় গোল করেন তিনি। ২ লেগ মিলিয়ে ২ গোলের ব্যবধানে তখন এগিয়ে সিটি। অতি বড় সমর্থকও ভাবতে বসবেন যে আদৌ এখান থেকে ম্যাচে ফেরা সম্ভব কি না। তবে ঠিক সেটাই হল। ফুটবলকে কেন গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ বলা হয়, তার প্রমাণ মিলল এদিন। 







৯০ মিনিটে বেঞ্জেমার অ্যাসিস্ট থেকে গোল করলেন তরুণ ব্রাজিলীয় রডরিগো। হঠাৎ যেন বার্নাব্যু জেগে উঠল। ম্যাচে ১-১, দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪। তখনো ১ গোল দরকার রিয়ালের, হাতে বাকি যোগ করা ৬ মিনিট সময়। অনেক সময় রিয়ালের জন্য! আহত বাঘের মতো তখন তেড়েফুঁড়ে উঠছে বারবার রিয়াল। মাত্র এক মিনিটের ব্যবধানে ফের গোল। এবার হেডে বল প্রতিপক্ষের জালে জড়ালেন রডরিগো। 







অতিরিক্ত সময় ম্যাচ গড়ালে সেখানে সমতা ফেরানোর সুযোগ ছিল ম্যান সিটির সামনে। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু ভুলটা করে বসলেন সিটির ডিফেন্ডাররা। বেঞ্জেমাকে বক্সে ফাউল করে। চলতি মরসুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ফরাসি স্ট্রাইকার ভুল করেননি কোনও। ম্য়াচের জয়সূচক গোল করে দলকে তুলে দিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে।