মেলবোর্ন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার ১২ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। এরমধ্যেই মোটামুটি সেমিফাইনালের সম্ভাব্য ৪ নিশ্চিত। তবে বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং চলতি টুর্নামেন্টের ফাইনালিস্ট ২ দলও বেছে নিয়েছেন। রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট দলকে অবশ্যই ফাইনালের অন্য়তম দাবিদার ধরেছেন তিনি। কিন্তু ভারতের সঙ্গে কাকে দেখতে চাইছেন পন্টিং?
পন্টিংয়ের বাছাই ২ দল
শুনতে অবাক করা হলেও রিকি পন্টিং মেলবোর্নে হতে চলা ফাইনাল ম্যাচে ভারতের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখতে চাইছেন অস্ট্রেলিয়াকেই। তিনি বলেন, ''আমি আগেও যা বলছিলাম, এবারও তাই বলব। আমি আশা রাখি শেষ পর্যন্ত এই গ্রুপ থেকে অস্ট্রেলিয়া উঠতে পারবে। দক্ষিণ আফ্রিকা একমাত্র অপরাজিত দল রয়েছে। কিন্তু আমি চাই মেলবোর্নে ফাইনালে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচই হোক।''
তিনি আরও বলেন, ''আমি ১৩ নভেম্বর ফাইনাল দেখতে মাঠে যাব। এর আগে যারা মেলবোর্নে কোনও বড় টুর্নামেন্টের ফাইনালে যে যে দেখতে আসেননি, তারা অবশ্যই আসুুন, দারুণ উপভোগ করতে পারবেন।''
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে দুরন্ত অর্ধশতরান হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়েছেন। নিজে ম্যাচের সেরাও হয়েছেন। তবুও একটা বিতর্ক তাঁকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে ক্রমাগতই। আর তা হল ফেক ফিল্ডিং ইস্য়ু। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পক্ষ থেকে নুরুল হাসান বিরাটের বিরুদ্ধে ফেক ফিল্ডিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ তুলেছেন।এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। বিভিন্ন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ভিন্নমত জানিয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে ফেক ফিল্ডিংয়ের জন্য ৫ রান পেনাল্টি প্রাপ্য তাদের।
আইসিসির নিয়ম
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী আইসিসির ৪১.৫ ধারায় বলা হয়েছে যে, ব্যাটারকে কোনও ভাবে বাধা দিলে বা মনঃসংযোগ নষ্ট করার চেষ্টা করলে সেক্ষেত্রে মাঠের অনফিল্ড আম্পায়াররা যদি তার গুরুত্ব বুঝতে পারে, সেক্ষেত্রে বিপক্ষ দলকে ৫ রান শাস্তি হিসাবে দিতে পারেন।
২০১৭ সালে আইসিসির নতুন এই নিয়ম জারি হওয়ার পর প্রথমবার ফেক ফিল্ডিং করেছিলেন মার্নাস লাবুশেন। জেএলটি ওয়ান ডে কাপে কুইন্সল্যান্ড বুলসের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচেই ফেক ফিল্ডিং করেন তিনি।
বিরাটের ক্ষেত্রে কী হয়েছিল?
নিয়ম অনুযায়ী অনফিল্ড আম্পায়াররা যদি ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পারতেন, তবে হয়ত ফেক ফিল্ডিংয়ের জন্য বাংলাদেশ দলকে পাঁচ রান পেনাল্টি দিতেও পারতেন। কিন্তু সেই মুহূর্তে কেউ প্রতিবাদ জানাননি এই ঘটনার। আর আম্পায়রদের নজরও এড়িয়ে যায় বিষয়টি থেকে। ফলে এখানে বিরাটকে ফেক ফিল্ডিংয়ের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি।