রিও ডি জেনেইরো: বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হল ২০১৬-র রিও অলিম্পিক্স-এর।   ২০১৪-এর ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল যে স্টেডিয়ামে সেই মারাকানা স্টেডিয়ামেই ৭৮ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে বর্ণে ,ছন্দে বিশ্বের শতাধিক দেশের সংস্কৃতি মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল। ভারতীয় সময় ভোর ৪.৩০ এ আলোর খেলার সঙ্গে আতসবাজির রঙের ছটায় উজ্জ্বল হয়ে উঠল স্টেডিয়াম।  ।বিশ্ব উষ্ণায়ন মোকাবিলার বার্তা দিল গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ-এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দেশের প্রতিনিধিরা পা মেলালেন প্যারেড অফ নেশানসে ।দৃষ্টিনন্দন এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করলেন ব্রাজিলের বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ফর্নান্দো মেইরিলেস।
৩১ তম অলিম্পিক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা গেল ব্রাজিলের ইতিহাস ও সমৃদ্ধ সংস্কতির ঝলক। সেই সঙ্গে রিও-র সেই বিখ্যাত সাম্বা নৃত্য। প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক সূচনার ঘোষণা করলেন ব্রাজিলের কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট মিচেল টেমের। এই প্রথম লাতিন আমেরিকায় অলিম্পিক্স অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অলিম্পিকের মশাল প্রজ্জলন করলেন ২০০৪-এর এথেন্স অলিম্পিক্সে ম্যারাথনে ব্রাজিলের ব্রোঞ্জজয়ী অ্যাথলিট ভ্যান্ডেরলেই ডি লিমা। অনুষ্ঠান স্থলে মশাল বয়ে নিয়ে আসেন টেনিসের প্রাক্তন এক নম্বর খেলোয়াড় ও তিনবারের ফরাসি ওপেন জয়ী গুস্তাভো কুয়ের্তেন।
এরপর অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীদের প্যারেড।১৮৯৬ সালে প্রথম অলিম্পিক্স আয়োজন করেছিল গ্রিস। পরম্পরা মেনে প্রথম প্যারেডটি করে সেই দেশই। এর পর এক এক করে দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান, জার্মানি, আলবেনিয়া, স্পেন, ফ্রান্স। ১৪ বারের গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী রাফায়েল নাদাল মঞ্চে আসতেই উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙল।  গ্রেট ব্রিটেনের হয়ে পরের মঞ্চ মাতালেন ২০১২ অলিম্পিক্সের সোনা জয়ী টেনিস তারকা অ্যান্ডি মারে। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে গেল উশেইন বোল্টের আগমন। জামাইকা নামতেই স্টেডিয়ামে ইকো হল বোল্টের নাম।
৯৫ তম দেশ হিসেবে ভারত। বেজিং অলিম্পিকে সোনাজয়ী অভিনব বিন্দ্রার হাতে দেশের জাতীয় পতাকা। পুরুষ ক্রীড়াবিদদের পরনে ছিল ঘন নীল রঙের ব্লেজার এবং মহিলা ক্রীড়াবিদদের পরণে শাড়ি ও নীল ব্লেজার। দর্শকদের শুভেচ্ছার জন্য অভিনন্দন জানাতে দেখা গেল টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজকে। তবে প্যারেডে ছিল না ভারতের পুরুষ হকি দল। তিরন্দাজি, টেবিল টেনিস ও ভারোত্তোলনের প্রতিযোগীরাও প্যারেডে অংশ নিতে পারেননি।