মুম্বই: চারিদিকে সচিন সচিন শব্দব্রহ্ম। সবাই মিলে একসঙ্গে সচিন...সচিন..বলে চিৎকার করছেন। এমন ছবি দেখে আমরা অভ্যস্ত। ভারতের জার্সিতে যতবার মাঠে নামতেন মাস্টার ব্লাস্টার (Master Blaster)। তখনই এমনভাবে গ্যালারি সোচ্চার হত। কিন্তু এবার মাঝ আকাশেই সচিন সচিন (Sachin Tendulkar) চিৎকার। অবসরের ১১ বছর পরও জনপ্রিয়তা কতটা সাড়ে পাঁচ ফুটের এই ক্রিকেট ঈশ্বরের তা বোধহয় এর থেকেই বোঝা যায়। 


নিজের ইনস্টাগ্রামে সচিন একটি স্টোরি পোস্ট করেছিলেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে যে বিমানের জানলা দিয়ে বাইরের ছবি তুলছেন মাস্টার ব্লাস্টার। সোশ্যাল মিডিয়ায় এরপরই একটি ক্লিপ ভাইরাল হয়, সেখানে দেখা যায় সস্ত্রীক বিমানের ইকনমিক ক্লাসে সফর করছেন সচিন। প্রিয় ক্রিকেটারকে দেখে বিমানের প্রত্যেক যাত্রীই সচিন সচিন করে চিৎকার করে ওঠেন। পাল্টা তাঁদের অভিবাদন কুড়িয়ে নেন সচিন। ধন্যবাদও জানান সবাইকে। 


 






ক্রিকেট ছাড়ার পর বিভিন্ন সময়ে কমেন্ট্রি বক্সে দেখা গিয়েছে সচিনকে। এছাড়াও মুম্বই ইন্ডি্য়ান্সের মেন্টর হিসেবেও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। এই মুহূর্তে সচিনের ছেলে অর্জুন তেন্ডুলকরও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের সদস্য। আইপিএল অভিষেক হলেও এখনও পর্যন্ত নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি অর্জুন। বাবার নামের একটা চাপ তো মাথাতে রয়েছেই তেইশের অর্জুনের। তবে সচিন কখনওই চান না যে ছেলে বাবার পরিচয় ২২ গজে খেলুক। এই প্রসঙ্গে কোনও বাড়তি সুবিধেও তিনি অর্জুনকে দিতে নারাজ।







২০১১ সালের বিশ্বকাপ জিতেছিলেন সচিন। ধোনির নেতৃত্বাধীন সেই দলের সবচেয়ে সিনিয়র সদস্য ছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। এরপর ২০১৩ সালে ওয়াংখেড়েতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে কেরিয়ারের শেষ ম্য়াচ খেলতে নেমেছিলেন। শেষ ইনিংসে অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেও শতরান মিস করেন সচিন। সেই ইনিংসে বিরাটের ক্যাচ নেওয়ার পর সেলিব্রেশন করেননি ড্যারেন স্যামি। 


সচিন ছয় ছয়টি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ভারতের মাটিতে ২০১১ সালে আয়োজিত শেষ ৫০ ওভারের বিশ্বকাপেই সচিনের দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হয়। বিশ্বখেতাব জেতে ভারতীয় দল। সেটাই তাঁর জীবনের সবথেকে গর্বের মুহূর্ত বলে জানান সচিন। অতীতের স্মৃতচারণা করে সচিন বলেছিলেন, '১৯৮৭ সালে বল বয় থেকে দেশের হয়ে ছয়টি টুর্নামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করা, বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট সবসময়ই আমার কাছে বিশেষ অনুভূতির। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ই আমার ক্রিকেট সফরের সবথেকে গর্বের মুহূর্ত।''