বেঙ্গালুরু: সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে (SAFF Championship) দুরন্ত শুরু ভারতের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে গেল ভারত। জোড়া গোলই করলেন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে লেবাননের বিরুদ্ধেও সুনীলের গোলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই ফর্মই ধরে রাখলেন ছেত্রী। এদিন খেলা শুরুর আগেই পাকিস্তানকে সমীহ করেছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্তিমাচ। ক্রমতালিকায় কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে তার ওপর ভিত্তি করে যে ম্যাচের ফেভারিট বাছাই করাটা ভুল হবে তা জানিয়ে দেন তিনি। তবে ম্যাচের শুরুতেই ১০ মিনিটের মাথায় গোল করে ভারতকে এগিয়ে দিয়ে পাকিস্তানের ওপর চাপ তৈরি করে দেন সুনীল ছেত্রী। তার কিছুক্ষণের মধ্যে ১৬ মিনিটের মাথায় ফের গোল করেন ছেত্রী। খেলা শুরুর প্রথম ষোলো মিনিটের মাথায় জোড়া গোল হজম করে চাপ বেড়ে যায় পাকিস্তানের।


এদিন খেলার শুরুতে ৩ মিনিটের মাথায় পাকিস্তানের সামনে সুযোগ চলে এসেছিল গোল করার। কিন্তু মিস করেন তাদের স্ট্রাইকার। এরপর ৭ মিনিটের মাথায় পাক গোলরক্ষক শাকিব হানিফের ভুলে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ছেত্রী একবার। কিন্তু তিনি গোল করতে পারেননি সেখান থেকে। যদিও পরে জোড়া গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। 


এরই মাঝে একবার পাকিস্তানের থ্রো ইনের সুযোগ আসে প্রথমার্ধের শেষ দিকে। সেই সময় সাইড লাইন থেকে বল নিয়ে নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের হেডকোচ ইগর স্তিমাচ। মুহূর্তের মধ্যে মাঠেই ঝামেলা শুরু হয়। পাকিস্তানের ফুটবলাররা ক্ষিপ্র হয়ে ওঠেন। এগিয়ে আসেন সন্দেশ ঝিঙ্ঘান, অনিরুদ্ধ থাপারা। ইগর স্তিমাচকে লাল কার্ডও দেখানো হয়। সন্দেশকে হলুদ কার্ড দেখতে হয়। পাকিস্তানের নবিকেও হলুদ কার্ড দেখতে হয়। 


সাফ কাপে ভারতের সামনে খেতাবরক্ষার লড়াই। কারণ, গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতই। সব মিলিয়ে মোট আটবার সাফ চ্যাম্পিয়ন ভারত। তবে বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর খেলতে নামছে ভারতীয় ফুটবল দল। ২০১৭ সালের অক্টোবরে শেষ একানে খেলেছিল ভারত। সেই ম্যাচে ম্যাকাওকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ২০১৯ সালের AFC এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন করেছিল ভারত।

 

এবারও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি সেরে নেওয়ার সেরা সুযোগ ভারতের সামনে। খাতায় কলমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতই ফেভারিট। ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে ভারত যেখানে রয়েছে ১০১ নম্বরে, পাকিস্তান রয়েছে ১৯৫-এ। সম্প্রতি চারদেশীয় একটি টুর্নামেন্ট খেলেছে পাকিস্তান দল। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতায় কিনিয়া, মরিশাস ও জিবুতি - তিন দেশের কাছেই হেরেছে পাকিস্তান।