নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস অতিমারির সময় নিজেকে ফিট রাখার পাশাপাশি পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছেন ভারতের ক্রিকেট দলের ওপেনার শিখর ধবন।


কোভিড-১৯ অতিমারির জন্য যে কোনও খেলার মতো ক্রিকেটও বন্ধ। কোভিড ১৯ লকডাউনে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন ভারতীয় দলের ‘গব্বর’। এখন অন্যান্য ক্রিকেটারদের মতোই দ্রুত বাইশ গজে ফিরে ফিরতে মুখিয়ে শিখর।

আপাপত বাড়ির লোকেদের সঙ্গে জমিয়ে সময় কাটছে শিখরের। মাঝেমধ্যেই স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে নিজের ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন তিনি।

এরইমধ্যে শনিবার আরও একবার শিখর দুর্গত মানুষের সাহায্য এগিয়ে এলেন। দিল্লিতে পাকিস্তানি হিন্দি উদ্বাস্তু শিবিরে গিয়ে সেখানকার শিশুদের হাতে তুলে দিলেন ক্রিকেট খেলার সরঞ্জাম।

দিল্লির মজলিশ মেট্রো স্টেশনের সামনে ওই উদ্বাস্তু শিবির সফরে গিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠতে দেখা যায় শিখরকে। তিনি বলেছেন, এমন সব লোকজনকে সাহায্য করে ও তাঁদের মুখে হাসি দেখে খুবই তৃপ্তি অনুভব করছি।

শিখর বলেছেন, আমার এক বন্ধু এই উদ্বাস্তু শিবিরের জন্য কাজ করছে। ও গাছ লাগিয়েছে। এখানে শৌচাগারও তৈরি করেছে। লকডাউনের সময়ও ওরা এখানে খাবার বিলি করেছে। তাই আমারও তাঁদের জন্য কিছু করার কথা মনে হয়েছে। আমরা এখানে ক্রিকেট খেলার সরঞ্জাম পৌঁছে দিলাম। এভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো জায়গায় থাকতে পারার জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। এখন এখানে খুদেরা খেলতে পারবে।

শিখর আরও বলেছেন, এটা একেবারেই সারপ্রাইজ ভিজিট। এখানকার লোকজনদের মুখে হাসি দেখে খুবই ভালো লাগছে। সবাইকে সহায়তা পৌঁছে দেওয়াটাই আমাদের কাজ। আমি সবাইকে বলতে চাই যে, এই সময়ে সতর্কতায় কোনওরকম শিথিলতা দেখাবেন না। সবসময় মাস্ক পরতে হবে। বয়স্কদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। প্রত্যেককেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

শিখর বলেছেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে খেলছিলাম। এই বিশ্রামটা আমাদের কাছে খুবই দরকার ছিল।