নয়াদিল্লি: লোঢা কমিটির সুপারিশে কিছু সংশোধন আনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সুপ্রিম কোর্টে বুধবার, ৯ ডিসেম্বর শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেই শুনানি পিছিয়ে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তাই আপাতত প্রেসিডেন্ট হিসাবেই কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সচিব থাকবেন জয় শাহ।
সংবিধান বদলের জন্য ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের আর্জি আজ, বুধবার শোনার কথা ছিল বিচারপতি নাগেশ্বর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের। নাগেশ্বর রাওয়ের নেতৃত্বে এই বেঞ্চে আছেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি অজয় রাস্তোগি। বোর্ড চাইছে সংবিধানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ বদলাতে। যার মধ্যে কুলিং-অফ পিরিয়ড অন্যতম। বোর্ডের যুক্তি, কুলিং-অফ পিরিয়ডের ফলে যোগ্য কর্মকর্তাদের ধারাবাহিক ভাবে কাজ করে যাওয়া সম্ভব নয়। যার ফলে বোর্ডের কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটবে।
কুলিং অফ নিয়ম অনুযায়ী, বোর্ডে বা রাজ্য সংস্থায়, বা বোর্ড ও রাজ্য সংস্থা মিলিয়ে কেউ টানা ৬ বছর ক্রিকেট প্রশাসনের পদাধিকারী থাকলে তাঁকে তিন বছরের জন্য পদ থেকে দূরে থাকতে পারবে। তারপর আবার তিনি ক্রিকেট প্রশাসনে ফিরতে পারবেন। সেই নিয়মে বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদে সৌরভ ও সচিব পদে জয়ের মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হন সৌরভ। তার আগে ২০১৪ সালে সিএবি-তে যুগ্ম সচিব হয়েছিলেন সৌরভ। পরে সিএবি প্রেসিডেন্টও হন। টানা ক্রিকেট প্রশাসনে রয়েছেন সৌরভ। আর ২০১৩ সালে গুজরাত ক্রিকেট সংস্থায় যুগ্ম সচিব হয়েছিলেন জয়। তারপর ২০১৯ সালের অক্টোবরে সৌরভের সঙ্গেই সচিব হিসাবে বোর্ডে আসেন। বোর্ড ও রাজ্য সংস্থা মিলে দু’জনেই ৬ বছরের বেশি পদে রয়েছেন।
বোর্ড চাইছে ৭০ বছর বয়সের উপরে বোর্ডে পদাধিকারী হওয়ার ক্ষেত্রে থাকা নিষেধাজ্ঞাও তুলে দিতে। যুক্তি হল, তাতে অভিজ্ঞ কর্তাদের সেক্ষেত্রে পাওয়া যাবে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বোর্ডের কাজকর্ম। বুধবার লাইফলাইন পেলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, জয় শাহ। কয়েক মাস আগে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও আপাতত ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবেই কাজ চালাবেন তিনি। একই ভাবে বোর্ড সচিব ও যুগ্ম সচিব থাকছেন যথাক্রমে জয় শাহ ও জয়েশ জর্জ। সুপ্রিম কোর্ট বুধবার জানিয়েছে যে তাঁদের ব্যাপারে জানুয়ারিতে হবে পরবর্তী শুনানি। আপাতত সৌরভরাই থাকছেন বোর্ডের দায়িত্বে। ২৪ ডিসেম্বর বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভাতেও তাই বোর্ড প্রেসিডেন্ট হিসেবে উপস্থিত থাকছেন সৌরভই।
পিছিয়ে গেল সুপ্রিম কোর্টের শুনানি, আপাতত বোর্ড প্রেসিডেন্ট থাকছেন সৌরভই
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
09 Dec 2020 07:42 PM (IST)
কুলিং অফ নিয়ম অনুযায়ী, বোর্ডে বা রাজ্য সংস্থায়, বা বোর্ড ও রাজ্য সংস্থা মিলিয়ে কেউ টানা ৬ বছর ক্রিকেট প্রশাসনের পদাধিকারী থাকলে তাঁকে তিন বছরের জন্য পদ থেকে দূরে থাকতে পারবে। তারপর আবার তিনি ক্রিকেট প্রশাসনে ফিরতে পারবেন। সেই নিয়মে বোর্ড প্রেসিডেন্ট পদে সৌরভ ও সচিব পদে জয়ের মেয়াদ নিয়ে প্রশ্ন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে বোর্ড প্রেসিডেন্ট হন সৌরভ। তার আগে ২০১৪ সালে সিএবি-তে যুগ্ম সচিব হয়েছিলেন সৌরভ। পরে সিএবি প্রেসিডেন্টও হন। টানা ক্রিকেট প্রশাসনে রয়েছেন সৌরভ। আর ২০১৩ সালে গুজরাত ক্রিকেট সংস্থায় যুগ্ম সচিব হয়েছিলেন জয়। তারপর ২০১৯ সালের অক্টোবরে সৌরভের সঙ্গেই সচিব হিসাবে বোর্ডে আসেন। বোর্ড ও রাজ্য সংস্থা মিলে দু’জনেই ৬ বছরের বেশি পদে রয়েছেন।
NEXT
PREV
খেলা (sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -