মুম্বই: ১৮ অক্টোবর ভারতীয় বোর্ডের (BCCI) নির্বাচন আয়োজিত হতে চলেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেই নির্বাচনে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) নয়, ভারতীয় বোর্ডের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হতে চলেছেন রজার বিনি। যদি জল্পনা সত্যি হয়, তাহলে আইসিসি চেয়ারম্যান পদে সৌরভের প্রতিদ্বন্দিতা করার বিষয়টাও ঘোরতর অনিশ্চিত।
সচিব জয় শাহই
আগে শোনা যাচ্ছিল, বিসিসিআই সভাপতির বদলে ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধি হিসাবে আইসিসির চেয়ারম্যান পদে লড়াই করতে পারেন সৌরভ। তবে স্লগ ওভারে যেমন মুহূর্তের মধ্যে ম্যাচের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বদলে যেতে পারে, তেমনই ভারতীয় বোর্ডের রাজনীতও যে শেষবেলায় অনেক বড় রদবদল ঘটে যায়, তা বোর্ডের বিষয়ে অবগত কারও অজানা নয়। কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে, সৌরভ নয়, বরং আইসিসির চেয়ারম্যান পদে ভারতের প্রতিনিধি হতে পারেন জয় শাহ (Jay Shah)। তবে বোর্ডের একাংশের দাবি, আপাতত সচিব হিসাবে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নিজের মেয়াদ সম্পূর্ণ করবেন জয়। তারপর ভারতীয় ক্রিকেটের প্রশাসন থেকে তাঁকে তিন বছরের জন্য বাধ্যতামুলক কুলিং অফে যেতে হবে। সেই সময় আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য ঝাঁপাতে পারেন অমিত শাহ-পুত্র।
সৌরভ বোর্ড সভাপতির পদ থেকে সরে গেলেও, খবর অনুযায়ী জয় শাহই বোর্ডের সচিব পদে বহাল থাকছেন। জয় শাহ ২০২৫ সাল পর্যন্ত টানা বোর্ড সচিব পদে থাকতে পারেন। সচিব হিসাবে তাঁর মেয়াদসীমা শেষ হলেই তিনি আইসিসির চেয়ারম্যানের জন্য লড়াই করতে পারেন। বর্তমানে আইসিসির পদে রয়েছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধি গ্রেগ বার্কলে। ২০২০ সালে দায়িত্বে এসেছিলেন তিনি। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি নির্বাচিত হলে, দুই বছর চেয়ারম্যান থাকতে পারেন। সেই অনুযায়ী নভেম্বরই বার্কলের প্রথম মেয়াদকাল শেষ হচ্ছে।
তবে নিয়ম অনুযায়ীই তিনি আরও দুইবার, অর্থাৎ আরও চার বছর আইসিসির চেয়ারম্যান পদে বহাল থাকতে পারবেন। শোনা যাচ্ছে তত দিন গ্রেগ বার্কলেকে সমর্থন জানিয়ে যেতে পারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে এই নিয়ে নিশ্চিতভাবে কোনওকিছুই এখন অন্তত বলা যাচ্ছে না। আইসিসির চেয়ারম্যান পদে তিনি লড়াই করবেন কি না, সেই নিয়ে সৌরভ কোথাও মুখ খোলেননি। তবে ঘনিষ্ঠমহলে সৌরভ জানিয়েছেন যে ভারতীয় বোর্ডের তরফে যেই প্রতিনিধি হয়ে আইসিসির চেয়ারম্যান পদে লড়াই করুন না কেন, সেই ভারতীয় প্রতিনিধির জয় কার্যত নিশ্চিত।
সৌরভের ভবিষ্যত
বোর্ডের প্রতিনিধি হয়ে সৌরভই আইসিসির চেয়ারম্যান পদে লড়বেন, না জয় শাহকে বছর তিনেক পরে সেই পদের জন্য লড়াই করতে দেখা যাবে, তা সময়ই বলবে। সিএবিতেও সৌরভ সচিব এবং সভাপতি পদ মিলিয়ে টানা সাড়ে পাঁচ বছর দায়িত্বে ছিলেন। ফলে সিএবি প্রশাসনে তিনি ফিরলে পুরো একটা মেয়াদকালও দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। তাই আপাতত ক্রিকেট প্রশাসনে সৌরভের ভবিষ্যত নিয়ে সংশয় থাকছে বলেই ওয়াকিবহল মহলের খবর।
আরও পড়ুন: