মুম্বই: লড়াই যেন থামতেই চাইছে না। সম্পর্কের তিক্ততাও প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। বিতর্ক থামারও কোনও লক্ষণ নেই। ভারতীয় ক্রিকেটে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বনাম বিরাট কোহলি দ্বৈরথের কথা সবার জানা। আইপিএলে দিল্লি বনাম আরসিবি ম্যাচের পরও ২জন দুজনের সঙ্গে কোনও সৌজন্য সাক্ষাতও করেননি। হাতও মেলাননি। এমনকী ফিল্ডিংয়ের সময়ে দিল্লির ডাগ আউটের দিকে অদ্ভূত দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলেন। সেই সময় সেখানে ছিলেন সৌরভ। যা নিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় কম চর্চা হয়নি। এবার সেই আগুনে আরও ঘি ঢেলে দিলেন প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি। কিছুদিন আগে বিরাট সৌরভকে আনফলো করে দিয়েছিলেন ইনস্টাগ্রাম থেকে। এবার উল্টো সৌরভও ইনস্টাগ্রাম থেকে আনফলো করে দিলেন বিরাটকে।
উল্লেখ্য, বিরাটকে ভারতীয় ক্রিকেটে সীমিত ওভারে ফর্ম্যাট থেকে নেতৃত্ব সরানোর বিষয়ে একবার সৌরভ বলেছিলেন ''এই সিদ্ধান্তটা বিসিসিআই এবং নির্বাচকরা যৌথভাবে নিয়েছিলেন। আসলে বিসিসিআই বিরাটকে টি-২০ ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব না ছাড়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু, বিরাট খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই অনুরোধ মেনে নেয়নি। তাই একদিনের ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব বিরাটের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।'' যদিও এর কিছুদিন পরে বিরাট সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন যে তাঁর সঙ্গে বিসিসিআইয়ের কেউই কোনও যোগাযোগ করেননি। এরপরই বিতর্ক শুরু হয়।
কিছুদিন আগেই আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের (Delhi Capitals) হতশ্রী পারফরম্যান্সের পর সৌরভকে খোঁচা দিয়েছিলেন শাস্ত্রী। বিরাটের সঙ্গে শাস্ত্রীর মধুর সম্পর্কের কথা সবার জানা। বিরাট-সৌরভ দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার পর কিং কোহলির পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় কোচ। এবার কটাক্ষের সুরে শাস্ত্রী বললেন, বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসাবেই হয়তো ভাল ছিলেন সৌরভ। দিল্লি ক্যাপিটালসের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট হওয়ার চেয়ে।
শনিবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (RCB)_কাছে ২৩ রানে হেরে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস। ষোড়শ আইপিএলে এখনও জয়ের মুখ দেখেননি ডেভিড ওয়ার্নাররা। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরেছে দিল্লি। পয়েন্ট টেবিলে সকলের নীচে। শনিবার আরসিবির কাছে দিল্লির হারের পর ডাগ আউটে থমথমে মুখে বসেছিলেন সৌরভ। যিনি দিল্লির ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট। পাশেই ফ্যাকাসে মুখে বসেছিলেন কোচ রিকি পন্টিংও। ম্যাচের ধারাভাষ্যকারের কাজ করছিলেন শাস্ত্রী। সহ ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুল বলেন, 'সৌরভ আগে ভারতীয় বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিল।' শাস্ত্রী তখনই বলে ওঠেন, 'ওখানেই হয়তো ভাল ছিল।' যেন বোঝাতে চান, ডিরেক্টর হিসাবে এই ভরাডুবির দায় সৌরভও এড়াতে পারেন না।