কলকাতা: রাজকোটে (Rajkot Test) সেঞ্চুরি যশস্বী জয়সওয়ালের। টেস্টে ভাল জায়গায় ভারত। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) গ্রুপ পর্বে নিয়মরক্ষার ম্যাচে দাপট বাংলার। বিদায়ী ম্যাচে বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার মনোজ তিওয়ারি। আইএসএলে শনিবার জিতল মোহনগান, ইস্টবেঙ্গল। খেলার দুনিয়ার সারাদিন।


চালকের আসনে ভারত


ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রাজকোটে তৃতীয় টেস্টে চালকের আসনে ভারত (India vs England)। তৃতীয় দিনের শেষে ৩২২ রানের লিড নিয়েছে ভারত। হাতে এখনও রয়েছে ৮ উইকেট। যদিও আর অশ্বিন টেস্ট থেকেই সরে যাওয়ায় ব্যাট করতে পারবেন না। তবু, এখান থেকে অন্তত সাড়ে চারশো রানের লিড নেওয়া উচিত ভারতের, মত বিশেষজ্ঞদের। আর সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাট রানের পিছু ধাওয়া করতে হবে। তাও এমন একটা সময়, যখন বল ঘুরবে, নীচু হবে, কোনও কোনও বল লাফাবে। সব মিলিয়ে ম্যাচের রাশ ভারতের হাতে।


আর ভারতকে চালকের আসনে বসিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে শনিবার প্রধান কারিগর যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal)। আগ্রাসী সেঞ্চুরি করলেন যিনি। টেস্ট কেরিয়ারে তৃতীয় শতরান। যার মধ্যে চলতি সিরিজেই দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে ফেললেন বাঁহাতি তরুণ।


লাল-হলুদ ঝড়


টানা ছয় ম্যাচ জয়হীন থাকার পরে জয়ের সরণিতে ফিরল ইস্টবেঙ্গল এফসি (East Bengal FC)। শনিবার রাতে হায়দরাবাদ এফসি-কে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে চলতি লিগের (ISL) তৃতীয় জয়টি পেল তারা। ম্যাচের এগারো মিনিটের মাথায় ক্লেটন সিলভার গোলে এ দিন জয়ে ফেরে তারা। এই জয়ের ফলে লিগ টেবলে আট নম্বরে উঠে এল তারা। ছ’নম্বরে থাকা জামশেদপুর এফসি-র সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান দাঁড়াল মাত্র দুই। বৃহস্পতিবার পরবর্তী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ এই জামশেদপুর-ই। সেই ম্যাচে তাদের হারাতে পারলে সেরা ছয়ে ঢুকে পড়বে লাল-হলুদ বাহিনী।


ছন্দে সবুজ-মেরুন


ম্যাচের আগেই আন্তোনিও লোপেজ হাবাস বলেছিলেন, প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন তাঁরা। বলবেন নাই বা কেন? এই নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড (NorthEast United FC) যে আগের ম্যাচেই হারিয়েছে ইস্টবেঙ্গল এফসি-কে।


কেন প্রতিপক্ষকে সমীহ করছিলেন হাবাস, তা ম্যাচে প্রমাণিত হয়ে গেল। কিক অফের ৬ মিনিটের মধ্যেই গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan Super Giant)। তবে শেষ বাঁশি বাজার পর মুখে হাসি সবুজ-মেরুন সমর্থকদের। ৪-২ গোলে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-কে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।


মোহনবাগানের হয়ে গোল চারটি করেন লিস্টন কোলাসো (Liston Colaco), জেসন কামিংস (Jason Cummings), দিমিত্রি পেত্রাতোস (Dimitrios Petratos) ও সাহাল আব্দুল সামাদ (Sahal Abdul Samad)।


বিরাট লিড বাংলার


বিতর্কিত সিদ্ধান্তেই ৩০ রান করে ফিরতে হল মনোজ তিওয়ারিকে (Manoj Tiwary)। যা হয়তো তাঁর কেরিয়ারের শেষ ইনিংস হয়ে রইল। ম্যাচের যা গতিপ্রকৃতি, তাতে বাংলাকে (Bengal vs Bihar) হয়তো দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটই করতে হবে না। বিহারের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ খেলেই অবসর নিচ্ছেন মনোজ। শনিবার, ম্যাচের দ্বিতীয় দিন তিনি ব্যাট করতে নামার সময় এবং আউট হয়ে ফেরার সময় গার্ড অফ অনার দিলেন বাংলা ও বিহার - দুই দলের ক্রিকেটারেরাই। এমনকী, আম্পায়াররাও হাজির ছিলেন সেখানে। শুক্রবার মনোজ বলেছিলেন, কেরিয়ারের শেষ ইনিংসকে স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করবেন। তাঁর ব্যাটিং দেখতে এসেছিলেন পরিবারের সদস্যরাও। কিন্তু আম্পায়ারিংয়ের ভুলে বড় ইনিংস থেকে বঞ্চিত হলেন তিনি।


যদিও মনোজের বিদায়ী মঞ্চে ইডেনে (Eden Gardens) আলো জ্বাললেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। যিনি গোটা মরশুমে দুটি মাত্র রঞ্জি ম্যাচ খেলছেন। তার আগে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে ভারতীয় এ দলের হয়ে খেলছিলেন। সেই অভিমন্যু ইডেনে বিহারের বিরুদ্ধে অপরাজিত ডাবল সেঞ্চুরি করলেন। প্রথম দিনের শেষে ৪৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। শনিবার প্রথমে সেঞ্চুরি, তারপর ডাবল সেঞ্চুরি করলেন। তিনি ছাড়া রান পেয়েছেন উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েল। ৫৪ বলে ৫৬ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন তিনি। ৪১১/৫ স্কোরে প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে বাংলা।


বিহার প্রথম ইনিংসে ৯৫ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩২ রানে এক উইকেট পড়ে গিয়েছে তাদের। প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে এক উইকেট তুলে নিয়েছেন মুকেশ কুমার। এখনও ২৮৪ রানে এগিয়ে বাংলা। বিহারের ব্যাটিং অর্ডারের যা হাল, তাতে রবিবারই ম্যাচ শেষ হয়ে যেতে পারে। যদি না অলৌকিক কিছু ঘটে, তাহলে মনোজের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার সম্ভাবনাও এই মুহূর্তে নেই।


সৌরভের মায়ের জন্মদিন


বাড়িতেই কয়েকদিন আগেই মৃদু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) মা। এখনও চিকিৎসাধীন তিনি। তার মাঝেই ১৭ ফেব্রুয়ারি, শনিবার ছিল তাঁর জন্মদিন। এবং মায়ের জন্মদিনে খুশিতে ভাসছেন সৌরভও। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাকে শুভেচ্ছাবার্তা দিলেন জাতীয় দলের (Indian Cricket Team) কিংবদন্তি অধিনায়ক। হাসপাতালে কেকও কাটেন মায়ের সঙ্গে।