কলকাতা: আইএসএলে মুম্বই সিটি এফসি-র কাছে হারল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। অর্জুন পুরস্কার পাচ্ছেন মহম্মদ শামি ও ঐহিকা মুখোপাধ্যায়। খেলার দুনিয়ার সারাদিন।


ফের মুম্বই কাঁটায় বিদ্ধ বাগান


মুম্বই সিটি এফসি বরাবরই শক্ত গাঁট সবুজ-মেরুন শিবিরের। আইএসএলে (ISL) কোনওদিন মুম্বইয়ের (Mumbai City FC) বিরুদ্ধে জিততে পারেনি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (MBSG)। হতাশার ছবিটা বদলাল না বুধবারও। ২-১ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ল মোহন বাগান।


যদিও এই ম্যাচের রেফারিং নিয়ে একাধিক প্রশ্ন থাকল। লাল কার্ড দেখানোর ক্ষেত্রে রেফারির তৎপরতা দেখে হতাশ অনেকেই। গোটা ম্যাচে ৭টি লাল কার্ডের পাশাপাশি ৭টি হলুদ কার্ডও দেখিয়েছেন তিনি। যা আইএসএলে এর আগে কোনও ম্যাচে দেখা যায়নি। ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে দু'দলের ফুটবলাররা ঝামেলায় জড়ান। মাঠে নেমে পড়েন সাপোর্ট স্টাফেরাও। ম্যাচের রাশ হাতে রাখতে তাঁর ঘন ঘন কার্ড ব্যবহারে ক্ষুব্ধ দু’দলই। রাহুলই যেন ম্যাচের ‘নায়ক’! ম্যাচের পর বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে দুই শিবিরকেই।


শামির স্বীকৃতি


দিন কয়েক আগে শেষ হওয়া বিশ্বকাপে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতাতে পারেননি বটে, তবে তারকা ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামি অনবদ্য বোলিং করে সকলেরই নজর কেড়েছিলেন। টুর্নামেন্টের প্রথম চার ম্যাচ না খেললেও, বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হিসাবে টুর্নামেন্ট শেষ করেন শামি। এই দুরন্ত বিশ্বকাপের সুফল পেতে চলেছেন তিনি। মহম্মদ শামিকে (Mohammed Shami) অর্জুন পুরস্কার (Arjuna Award) দেওয়া হচ্ছে।


ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মান হল অর্জুন পুরস্কার। ক্রীড়াক্ষেত্রে অনবদ্য পারফরম্যান্সের ফলেই কোনও ক্রীড়াবিদ এই পুরস্কার পান। শামি বিশ্বকাপের মাত্র সাত ম্যাচে ২৪টি উইকেট নেন। এই গোটা বছরই ওয়ান ডে ক্রিকেটে দাপট দেখিয়েছেন শামি। ১৯টি ৫০ ওভারের ম্যাচে ৪৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। ভারতীয় দলের তিন ফর্ম্যাটে এক নম্বর দল হয়ে উঠার পিছনেও শামির অবদান ছিল অনস্বীকার্য। এবার তারই সুফল পাচ্ছেন তিনি।


অর্জুন ঐহিকার


অর্জুন পুরস্কার প্রাপক ২৬জন ক্রীড়াবিদদের মধ্য রয়েছেন বাংলার দুই ক্রীড়াবিদ। বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে মহম্মদ শামি তো অর্জুন পুরস্কার পাচ্ছেনই। পাশাপাশি অর্জুন পুরস্কার পাচ্ছেন টেবল টেনিস খেলোয়াড় ঐহিকা মুখোপাধ্যায়ও। সুতীর্থা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে এশিয়ান গেমসে চিনের বিশ্বজয়ী জুটিকে হারান তিনি। এরপরেই অর্জুন পুরস্কার পেতে চলেছেন তারকা প্যাডলার ঐহিকা।


স্পিনের হুঙ্কার


কলকাতা নাইট রাইডার্সে মেন্টর হিসাবে এসেই মণীশ পাণ্ডেকে (Manish Pandey) ফিরিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। নিলামের পর গম্ভীর বলেছেন, 'আমরা অভিজ্ঞতাও খুঁজছিলাম। মণীশ পাণ্ডে এমন এক ক্রিকেটার, যে আমাদের হয়ে ভাল খেলেছে। ওর কাছে এটা গর্ব করার মতো মুহূর্ত। একই পরিবেশ, একই মাঠে খেলার সুযোগ পাবে। ওর দক্ষতা আছে। প্রতিভা আছে। হয়তো সেরা বছরটা এখানেই কাটাবে। মণীশ পাণ্ডের সেরাটা আমরা দেখতে পাব। দারুণ ফিল্ডারও। মণীশ পাণ্ডের মতো ক্রিকেটার দলে এলে শক্তি আরও বাড়ে।'


নিলামের টেবিল থেকে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানকে কিনেছে কেকেআর। গৌতির কথায়, 'ভেবে দেখুন সুনীল নারাইন, মুজিব ও বরুণ চক্রবর্তী একসঙ্গে খেলছে। এক ম্যাচে ১২ ওভার বল করছে। স্পিন বোলিংয়ের কী মান হবে ভাবুন।' যোগ করেছেন, 'মণীশ অভিজ্ঞ। পাশাপাশি সাকারিয়াকে পেয়েছি। ভারতীয় উইকেটকিপার (কে এস ভরত) পেয়েছি। দলের সব দিকেই বৈচিত্র যোগ হয়েছে। ভারসাম্য বেড়েছে। সেই সঙ্গে মিচেল স্টার্কের মতো একজনকে পেয়েছি। যে এক্স ফ্যাক্টর হতে পারে। এছাড়া গাসকে পেয়েছি, যার বলের গতি স্টার্কের মতোই।'


গিলের সিংহাসনে বাবর


নতুন প্রকাশিত আইসিসি ক্রমতালিকা অনুযায়ী বোলারদের ক্রমতালিকায় টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে শীর্ষে উঠে এলেন ইংল্য়ান্ডের আদিল রাশিদ। এই প্রথমবারের জন্য ক্রমতালিকায় শীর্ষস্থান দখল করলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ৫ ম্য়াচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে ইংল্যান্ড এই মুহূর্তে। সেই সিরিজেই ৩ ম্যাচে এখনও পর্যন্ত ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন রাশিদ। এখনও একটি ম্যাচ খেলা বাকি। যার ফলে ক্রমতালিকায় উন্নতি করেছেন ইংল্যান্ডের স্পিনার। কিছুদিন আগেই টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছিলেন ভারতের তরুণ স্পিনার রবি বিষ্ণোই। তবে তাঁকেও এবার টেক্কা দিলেন রাশিদ। বিষ্ণোই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। অন্যদিকে আফগানিস্তানের রশিদ খান রয়েছেন তৃতীয় স্থানে। ইংল্য়ান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে বোলারদের ক্রমতালিকায় শীর্ষে উঠে এলেন। এর আগে এক দশক আগে গ্রেম সোয়ান একবার শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন এই ফর্ম্যাটে। অন্য়দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভাল পারফরম্যান্সের সুবাদে এগিয়ে এলেন কুলদীপ যাদব।