কলকাতা: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন ভাল জায়গায় ভারত। ওয়ান ডে ক্রিকেটে বর্ষসেরা বিরাট কোহলি। মেরি কমের অবসর নিয়ে জল্পনা। রঞ্জি ট্রফির চতুর্থ ম্যাচে বাংলার সামনে অসম। খেলার দুনিয়ার সারাদিন।


চাপে ইংল্যান্ড


সিরিজ শুরুর অনেক আগে থেকেই কথা হচ্ছিল বাজ়বল (Bazball) নিয়ে। ব্রেন্ডন ম্যাকালাম ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের কোচ হওয়ার পর আগ্রাসী ক্রিকেটের যে মন্ত্রে দীক্ষিত করেছেন বেন স্টোকসদের। যে ক্রিকেটের মূলমন্ত্রই হল, প্রথম বল দেখে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ শানাও।


নিজামের শহরে অবশ্য পাল্টা আগ্রাসী ক্রিকেটের সামনে পড়ে বেশ চাপে ইংল্যান্ড। ভারতের (IND vs ENG) বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেল মাত্র ২৪৬ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৩ ওভারে ১১৯ রান তুলে ফেলল ভারত। এক উইকেটের বিনিময়ে। সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের চেয়ে মাত্র ১২৭ রানে পিছিয়ে ভারত।


ওয়ান ডে-তে বর্ষসেরা বিরাট


ভারত বিশ্বকাপ জেতেনি। দুরন্ত ছন্দে গোটা টুর্নামেন্ট খেলেও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার। তবে বছরভর ভাল ক্রিকেট খেলার পুরস্কার পেলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। আইসিসি (ICC) তাঁকে দিল বিশেষ স্বীকৃতি।


২০২৩ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন কোহলি। তাঁকে বর্ষসেরা ওয়ান ডে ক্রিকেটার হিসাবে বেছে নিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। বিশ্বকাপে ভারতকে ফাইনালে তোলার নেপথ্যে অন্যতম প্রধান ভূমিকা ছিল কিংগ কোহলির। ওয়ান ডে ক্রিকেটে ২০২৩ সালে ২৭ ম্যাচে ১৩৭৭ রান করেছেন কোহলি। সেই সঙ্গে বল হাতে নিয়েছেন ১ উইকেট। ১২টি ক্যাচও ধরেছেন তিনি।


মেরিকে নিয়ে জল্পনা


সদ্যই কিংবদন্তি মেরি কম নিজের দস্তানাজোড়া তুলে রেখেছেন বলে দাবি করা হয়। রেকর্ড ছয় বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নের এক মন্তব্যের পরেই সকলে মনে করেছিলেন তিনি অবসর ঘোষণা করে ফেলেছেন। তবে তা সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দিলেন মেরি কম (Mary Kom)। এক বিবৃতিতে সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি অবসর নেননি, বরং তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখা দেওয়া হয়েছে।


মেরি কম বিবৃতিতে জানান, 'আমার মিডিয়ার বন্ধুরা, আমি এখনও অবসর ঘোঘণা করিনি, আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখা দেওয়া হয়েছে। আমার অবসর ঘোষণা করার হলে আমি নিজে মিডিয়ার সামনে এসে সেটা জানাব।' ৪১ বছর বয়সি মেরি কমের অবসর নিয়ে বুধবারই জলঘোলা শুরু হয়। এক স্কুল ইভেন্টে গিয়ে মেরি কমের এক মন্তব্যের পরই তাঁর অবসর নিয়ে কথা শুরু হয়। 


কলকাতায় সানজিদা


বৃহস্পতিবার দিনটির জন্য অপেক্ষা করেছিলেন লাল-হলুদ শিবিরের সকলে। কারণ, এদিনই ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) হয়ে খেলতে কলকাতায় এলেন বাংলাদেশের জাতীয় মহিলা দলের ফুটবলার সানজিদা আখতার (Sanjida Akhter)। বৃহস্পতিবার শহরে পা রাখলেন তিনি। লাল-হলুদ জার্সি গায়ে মহিলাদের আই লিগ খেলবেন সানজিদা। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের পর সানজিদাকেও দেখা যাবে ভারতের ক্লাব ফুটবলে। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কর্তারা। পরে ক্লাবের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিও পোস্ট করা হয়। লেখা হয়, 'আমাগো বাসায় স্বাগতম, সানজিদা!' 


বাংলার পরীক্ষা


তিন ম্যাচে পয়েন্ট মাত্র পাঁচ। আট দলের গ্রুপে পাঁচ নম্বরে রয়েছে বাংলা (Bengal Cricket Team)। মুম্বই যেখানে তিন ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে রয়েছে ছত্তীসগড়, অন্ধ্র প্রদেশ, উত্তর প্রদেশও। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) কোয়ার্টার ফাইনালের ওঠার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখতে অসমের বিরুদ্ধে তাই সরাসরি জয়ের জন্য ঝাঁপাতে মরিয়া বাংলা শিবির (Bengal vs Assam)। গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলা ম্যাচে তাই পাঁচ বোলার নিয়ে নামছে বাংলা।


তবে বৃষ্টির কাঁটা সামান্য হলেও থাকছে এই ম্যাচেও। বাংলার কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী গুয়াহাটি থেকে মোবাইল ফোনে বললেন, 'বুধবার ভাল বৃষ্টি হয়েছে। বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে মূল মাঠ সংলগ্ন নেট প্র্যাক্টিসের সময় আজ রান আপের জায়গা একটু নরম ছিল। বালি ছড়াতে হয়।' এমনিতেই আগের দুই ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট হওয়ার পর আবহাওয়াকে কাঠগড়ায় তুলেছিল বাংলা শিবির। যদিও শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ারই কথা।


অসমের বিরুদ্ধে বাংলা শিবিরের আর এক চিন্তা, ম্যাচের সময় আধ ঘণ্টা এগিয়ে আসা। বর্ষাপাড়ায় বাংলা বনাম অসম ম্যাচের খেলা শুরু হবে রোজ সকাল সাড়ে আটটায়। যেহেতু বিকেল সাড়ে তিনটের মধ্যেই দিনের আলো পড়ে আসে। সকালের দিকে উইকেটের তাজা ভাব পেসারদের সুবিধা দিতে পারে বলে মনে করছে বাংলা শিবির।


প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, তিন পেসার ও দুই স্পিনার খেলানো হবে। আগের ম্যাচের একাদশ থেকে একজন ব্যাটার কমিয়ে। সম্ভবত বাইরে বসতে হবে আগের ম্যাচেই রঞ্জি অভিষেক ঘটানো শুভম চট্টোপাধ্যায়কে। বোলিং বিভাগেও বদল আসছে। তিন পেসারের মধ্যে সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল ও মহম্মদ কাইফের খেলা নিশ্চিত। তবে আগের ম্যাচে ম্লান দেখানো ঈশান পোড়েলকে বাদ দেওয়া হতে পারে। তাঁর পরিবর্তে খেলানো হতে পারে সুমন দাসকে। তারকেশ্বরের পেসারের রঞ্জি অভিষেক হবে সেক্ষেত্রে। এছাড়া কর্ণ লালের সঙ্গে দ্বিতীয় স্পিনার হিসাবে খেলানো হতে পারে বাঁহাতি স্পিনার অঙ্কিত মিশ্রকে।