কলকাতা: খেলার মাঠে সারাদিন কী ঘটল, কারা কেড়ে নিলেন নজর, দেখে নিন এক ঝলকে
সিরিজ ২-২
মরণ-বাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠল ভারত (Team India)। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৮২ রানে হারিয়ে দিল টিম ইন্ডিয়া। ভারতের ১৬৯/৬ তাড়া করতে নেমে ১৬.৫ ওভারে মাত্র ৮৭ রানে অল আউট হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা (Ind vs SA)। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-২ করে দিল ভারত। সিরিজের ভাগ্য নির্ধারিত হবে শেষ ম্যাচে।
আইপিএলে (IPL) ব্যাট হাতে বিধ্বংসী ছন্দে ছিলেন। ফর্মের জন্যই দীর্ঘদিন বাদে তাঁকে জাতীয় দলে ফেরানো হয়। শুক্রবার দীনেশ কার্তিক (Dinesh Karthik) প্রমাণ করলেন, তাঁর ওপর আস্থা রেখে ভুল করেননি নির্বাচকেরা। মাত্র ২৬ বলে হাফসেঞ্চুরি। ২৭ বলে ৫৫ রান করে আউট হলেন ডিকে (DK)। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হাফসেঞ্চুরি তাঁর। ডিকে-কে সঙ্গত করলেন হার্দিক পাণ্ড্যও (Hardik Pandya)। ৩১ বলে ৪৬ রান করলেন আইপিএল জয়ী হার্দিক। পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৩৩ বলে ৬৫ রান যোগ করে ম্যাচের মোড় ঘোরালেন দুজনে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলেছিল ১৬৯/৬।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেন কুইন্টন ডি'কক। কিন্তু তেম্বা বাভুমা একটি রান নিতে গিয়ে ডাইভ মেরে কনুইয়ে চোট পেয়ে আহত ও অবসৃত হন ৮ রান করে। ডি'ককও ১৪ রান করে রান আউট হয়ে যান। এরপর ম্যাচ জুড়ে শুধু ভারতের বোলারদের দাপট। যাঁদের মধ্যে সেরা আবেশ খান। মাত্র ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন। তাঁর এক ওভারে পরপর ফেরেন রাসি ফান দার দাসেন, মার্কো জানসেন ও কেশব মহারাজ। শেষ পর্যন্ত ১৬.৫ ওভারে ৮৭ রানে শেষ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
রেকর্ড ইংল্যান্ডের
ওয়ান ডে ক্রিকেটে নতুন কীর্তি তৈরি করল ইংল্যান্ড। শুক্রবার আমস্টেলভিনে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৪৯৮/৪ স্কোর তুললেন ইংরেজ ক্রিকেটারেরা (England vs Netherlands)। এটাই ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ভেঙে গেল ইংল্যান্ডেরই চার বছরের পুরনো রেকর্ড। তিন-তিনজন সেঞ্চুরি করলেন। ফিল সল্ট, দাভিদ মালান ও জস বাটলার। তার মধ্যে সবচেয়ে বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন বাটলার। মাত্র ৭০ বলে ১৬২ রান করে অপরাজিত রইলেন তিনি।
ওয়ান ডে ক্রিকেটে এর আগে পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের রেকর্ড ছিল ইংল্যান্ডেরই। ২০১৮ সালে নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫০ ওভারে ৪৮১/৬ তুলেছিল ইংল্যান্ড। ২৪২ রানে অজিদের হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। সেই ম্যাচে বড় সেঞ্চুরি করেছিলেন জনি বেয়ারস্টো ও অ্যালেক্স হেলস। সেই ম্যাচে খেললেও রান পাননি বাটলার। মাত্র ১১ রান করে ফিরে গিয়েছিলেন। শুক্রবার যেন সেই খামতি সুদে আসলে মিটিয়ে নিলেন বাটলার। আইপিএলে যিনি বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন বাটলার।
শুক্রবার ৭০ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ১৪টি ছক্কা মেরেছেন বাটলার। তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ২৩১.৪২। অল্পের জন্য একটি বিশ্বরেকর্ড হাতছাড়া হয়েছে বাটলারের।
বাংলার অগ্নিপরীক্ষা
রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) ফাইনালে কার্যত পৌঁছেই গিয়েছে মুম্বই। উত্তরপ্রদেশের বোলারদের নিয়ে সেমিফাইনালে ছেলেখেলা করছে মুম্বই। বাংলা কি রঞ্জি ফাইনালে তাদের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পাবে?
উত্তরের জন্য শনিবারের দিকে তাকিয়ে থাকবেন বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা। যেদিন অগ্নিপরীক্ষা দেবেন বাংলার ব্যাটাররা। মধ্য়প্রদেশকে (Bengal vs MP) হারাতে গেলে এখনও ২৫৪ রান করতে হবে বাংলাকে। এবং সেটা করতে হবে বেঙ্গালুরুর অদূরে আলুর ক্রিকেট মাঠের শেষ দিনের পিচে। যে পিচে বল পড়ে লাফাচ্ছে, কখনও নীচু হচ্ছে। সাহায্য পাচ্ছেন স্পিনাররাও। তবে উইকেট এখনও ব্যাটিংয়ের পক্ষে ভাল। যা দেখিয়ে দিয়েছেন বাংলার অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ। চতুর্থ দিনের শেষে যিনি ৫২ রানে অপরাজিত। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে অনুষ্টুপ মজুমদার। চাপের মুখে রান করা যিনি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। শুক্রবার, ম্যাচের চতুর্থ দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৯৬/৪।