হায়দরাবাদ: দুই দলই এক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে। দুই দলেরই ভাঁড়ারে ৬ পয়েন্ট। কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) এক ম্যাচ বেশি খেলেছে। রান রেট সামান্য় ভাল। -০.১৪৭। ৯ ম্যাচ খেললেও সেই কারণে পয়েন্ট টেবিলের আট নম্বরে রয়েছে শাহরুখ খান-জুহি চাওলার দল। বৃহস্পতিবার তাদের প্রতিপক্ষ যারা, সেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (SRH) ৮ ম্যাচের মধ্যে তিনটি জিতে ৬ পয়েন্ট পেয়েছে। এইডেন মারক্রামদের নেট রান রেট -০.৫৭৭। পয়েন্ট টেবিলের ৯ নম্বরে তাঁরা।
কেকেআরের কাছে বাকি পাঁচ ম্যাচই মরণ-বাঁচন। ৫টি ম্যাচ টানা জিতলে আরও ১০ পয়েন্ট যোগ হবে ভাঁড়ারে। সব মিলিয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সেক্ষেত্রে প্লে অফে যাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনাও বেঁচে থাকবে। হায়দরাবাদ তুলনামূলকভাবে ভাল জায়গায়। বাকি ৬ ম্যাচের সবকটি জিতলে প্লে অফে চলেও যেতে পারেন মারক্রামরা।
এতক্ষণ হচ্ছিল খাতায়-কলমের কথা। বাস্তবের ছবিটা অবশ্য আলাদা। যা বলছে, একটা ম্যাচ হারলেই প্লে অফের দৌড় থেকে বিদায়, এরকম প্রাণান্তকর চাপ সামলে পারফর্ম করা নাইটদের অগ্নিপরীক্ষা।
ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সহকারী কোচ রায়ান টেন দুশখাতে বলেছেন, 'দুই দলই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে। বাকি ৫ ম্যাচে কী হবে এখনই ভাবছি না। একটা একটা করে ম্যাচ ধরে এগোচ্ছি।' যোগ করেছেন, 'এখনই হাল ছাড়ছি না। পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটু মন্থর ছিলাম। ব্যাটিং ব্যর্থতা ভুগিয়েছে আমাদের।'
কেকেআরের টুর্নামেন্টের শুরুটা হয়েছিল দারুণভাবে। প্রথম ৩ ম্যাচের মধ্যে ২ জয়। রিঙ্কু সিংহের মহাকাব্য। নাইটদের ঘোড়া দৌড়চ্ছিল টগবগিয়ে। সেখান থেকে অবশ্য টানা চার হারের ধাক্কায় থমকে গিয়েছে। হায়দরাবাদ আবার শুরুটা করেছিল জঘন্য। তবে পরে তিন জয় পেয়েছে। যার মধ্যে প্রথম জয় ছিল ইডেন গার্ডেন্সে। কেকেআরকে হারিয়েই সঞ্জীবনী পেয়েছিল হায়দরাবাদ। হ্যারি ব্রুক সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করে নাইট বোলিংকে তছনছ করে দিয়েছিলেন। তবে তারপর থেকেই ব্রুক ছন্দহীন। বরং ময়ঙ্ক আগরওয়াল ও অভিষেক শর্মার ওপেনিং জুটি দাঁড়িয়ে গিয়েছে।