শারজা: কলকাতা নাইট রাইডার্সে বরাবরই বাংলার ক্রিকেটাররা ব্রাত্য। এবারের দলেও কোনও বাঙালি নেই। তবে আইপিএল-এর অন্য কয়েকটি দলে বাঙালি ক্রিকেটাররা খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তাঁদের অন্যতম উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। মঙ্গলবার কেকেআর-এর ভাগ্য নির্ধারণে তিনি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ১০ উইকেটে হারিয়ে কেকেআর-কে ছিটকে দিয়ে প্লে-অফে জায়গা করে নিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ঋদ্ধিমান অপরাজিত থাকলেন ৫৮ রান করে। হায়দরাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।


এই ম্যাচ হারলেও, ১৪ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরেই থাকল মুম্বই। ১৪ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি ক্যাপিটালস। এই ম্যাচ জিতে ১৪ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে হায়দরাবাদ। ১৪ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরেরও পয়েন্ট ১৪। তবে রান রেটে এগিয়ে থাকায় তিন নম্বরে ওয়ার্নারের দল। কলকাতারও পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ১৪। তবে রান রেটে পিছিয়ে থাকায় পাঁচ নম্বরে শেষ করলেন ইয়ন মর্গ্যানরা।

আজ মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদের ম্যাচ থাকলেও, আসলে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে কলকাতার লড়াই ছিল। কারণ, এই ম্যাচ থেকে মুম্বইয়ের কিছু পাওয়ার ছিল না, হারানোরও কিছু ছিল না। রোহিত শর্মার দল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে আগেই প্লে-অফে জায়গা করে নেয়। ফলে আজ মুম্বই হারলেও কিছু যায়-আসে না। কিন্তু কলকাতার স্বার্থে মুম্বইয়ের জেতা জরুরি ছিল। তবে সেটা হল না। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সহজ জয় পেল হায়দরাবাদ।

এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে মুম্বইকে ব্যাট করতে পাঠান হায়দরাবাদের অধিনায়ক ওয়ার্নার। মুম্বইয়ের ইনিংসের শুরুটা ভাল হয়নি। তৃতীয় ওভারেই ফিরে যান অধিনায়ক রোহিত। তিনি মাত্র ৪ রান করেন। মুম্বইয়ের কোনও ব্যাটসম্যানই এদিন বড় রান পাননি। কুইন্টন ডি কক ২৫, সূর্যকুমার যাদব ৩৬, ঈশান কিষাণ ৩৩, ক্রুণাল পাণ্ড্য ০, সৌরভ তিওয়ারি ১ রান করেন। শেষদিকে অবশ্য ভাল ব্যাটিং করেন কাইরন পোলার্ড। তিনি করেন ৪১ রান। জেমস প্যাটিনসন ৪ ও ধবল কুলকার্ণি ৩ রান করে অপরাজিত থাকে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৯ রান করে মুম্বই।

হায়দরাবাদের হয়ে ৩ উইকেট নেন সন্দীপ শর্মা। জোড়া উইকেট নেন জেসন হোল্ডার ও শাহবাজ নাদিম। একটি উইকেট নেন রশিদ খান।

রান তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও ঋদ্ধিমানের কোনও সমস্যাই হয়নি। তাঁরা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনায়াসে রান করে যান। জসপ্রীত বুমরাহ, ট্রেন্ট বোল্টরা না খেলায় এদিন মুম্বইয়ের বোলিংয়ে তেমন ঝাঁঝও ছিল না। ফলে ঋদ্ধিমানদের কাজটা সহজ হয়ে যায়।