দুবাই: লম্বা, ছিপছিপে কিশোরের কথা শুনে চমকে উঠেছিলেন অভিজ্ঞ কোচ। 'আয়াজ ভাই, আমি পাকিস্তানের হয়ে খেলব'।
অবশ্য পরে ভাবতে বসে খুব একটা অস্বাভাবিকত্ব খুঁজে পাননি আয়াজ আকবর ইউসুফজাই। ছাত্রের বয়স ১৫ বছর। সেই বয়সে সব উঠতি ক্রিকেটারই জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু এ ছেলের যে অনেকরকম সমস্যা। অল্পতেই হাঁফিয়ে যায়। রান আপ ধরে দৌড়ে এসে বল করার পর নিজেই বেশ কয়েকবার সেই কথা জানিয়েছিলেন কোচকে। অ্যাকশন নিয়েও সমস্যা ছিল। তবে প্রথম দিন থেকে কোচের নজর কেড়ে নিয়েছিল বল করার সময় কব্জির নমনীয়তা আর গলার সংকল্প। আয়াজ বুঝে গিয়েছিলেন, এই ছেলে অনেক দূর যাবে।
সেই খুদের স্বপ্ন যে খুব একটা অবাস্তব ছিল না, তা উপলব্ধি করেছে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব। আর বল হাতে সেদিনের সেই কিশোর কীরকম বিভীষিকা হয়ে উঠতে পারেন, রবিবার তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন রোহিত শর্মা, কে এল রাহুল-সহ তারকা সমৃদ্ধ ভারতীয় ব্যাটিং লাইন আপ।
সেদিনের সেই কিশোরই শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৩১ রানে তিন উইকেট নিয়ে যিনি রবিবার ম্যাচের সেরা হলেন। তাঁর দুরন্ত স্পেলই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের গর্বের রেকর্ড ভেঙে তছনছ করে দিল।
পাক পেসারের ছোটবেলার কোচ আয়াজ বলেছেন, 'ছোট থেকেই ও খুব গম্ভীর। আমি তো কয়েকবারও বলেওছি, আরে, একটু হাস তো।' আয়াজ যোগ করেছেন, 'তখন ওর মাত্র ১৫ বছর বয়স। আমাকে বলেছিল, আয়াজ ভাই, আমি পাকিস্তানের হয়ে খেলব।' যোগ করেছেন, 'অল্পতেই হাঁফিয়ে যেত। রান আপ ধরে দৌড়ে এসে হাঁফিয়ে পড়ত।' তবে নজর কেড়েছিল কাঁধ ও কব্জির নমনীয়তা। যে কারণে শাহিনের হাত থেকে মাঝে মধ্যে ছিটকে বেরোয় ম্যাজিক ডেলিভারি। ঠিক যেমন একটা ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিলেন রোহিত শর্মার দিকে। আগুনে গতির বল চকিতে ইনসুইং করে প্রায় ইয়র্কার লেংথে পড়ে ভারতীয় তারকাকে হতচকিত করে দিয়েছিল।
পাক পেসারের শৈশবের কোচ বলছেন, এরকম আরও ডেলিভারি অপেক্ষা করে রয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই দেখা যাবে।
বিশ্বের তাবড় ব্যাটাররা তৈরি থাকুন।