শারজা: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (T20 World Cup) রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ থেকে সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে টিকে থাকল তেম্বা বাভুমার দল।


তবে ম্য়াচ হারলেও শ্রীলঙ্কার কাছে স্মরণীয় হয়ে রইল স্পিনার-অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ডি সিলভার হ্যাটট্রিক। দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের ১৫তম ওভারের শেষ বলে এইডেন মারক্রামের উইকেট নিয়েছিলেন হাসারাঙ্গা। ১৭তম ওভারে বল করতে এসে পরপর দু'বলে হাসারাঙ্গা ফেরান তেম্বা বাভুমা ও ডোয়েন প্রিটোরিয়াসকে। তবে হাসারাঙ্গার দুরন্ত স্পেলের ফায়দা তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ৪ উইকেটে ম্য়াচ হেরে যায় দাসুন শানাকার দল।


শারজায় টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক বাভুমা। শ্রীলঙ্কার হয়ে ইনিংসের শুরুটা দুরন্তভাবে করেছিলেন ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। ৫৮ বলে ৭২ রান করেন তিনি। ডোয়েন প্রিটোরিয়াসের বলে ফিরে যাওয়ার আগে পর্যন্ত প্রোটিয়া বোলারদের রীতিমতো চাপে রেখেছিলেন নিশাঙ্কা।


তবে নিশাঙ্কা ছাড়া শ্রীলঙ্কা ব্যাটারদের আর কেউই রান পাননি। তিন নম্বরে নেমে ১৪ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে যান চলতি বিশ্বকাপে দুরন্ত ফর্মে থাকা চরিথ আসালাঙ্কা। শারজার পিচে খুব বেশি রান উঠছে না। আইপিএলেও এখানকার বাইশ গজে রানের জন্য লড়াই করতে হয়েছে ব্যাটারদের। শনিবার আটকে গেলেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররাও। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বল হাতে সফল প্রিটোরিয়াস ও তাবারেজ শামসি। দুজনই ১৭ রান করে দিয়ে তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন। দুই উইকেট এনরিক নোখিয়ার। ২০ ওভারে ১৪২ রানে আটকে যায় শ্রীলঙ্কা।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলে ফিরে কুইন্টন ডি'কক ১০ বলে ১২ রান করে আউট হয়ে যান। তবে বাভুমা মিডল অর্ডারে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ৪৬ বলে ৪৬ রান করে আউট হন তিনি।


শেষ ২ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জেতার জন্য দরকার ছিল ২৫ রান। ডেভিড মিলার (১৩ বলে অপরাজিত ২৩ রান) ও কাগিসো রাবাডা (৭ বলে অপরাজিত ১৩ রান) এক বল বাকি থাকতে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন শামসি। গ্রুপ ওয়ানে ২ ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ঝুলিতে ৪ পয়েন্ট। পয়েন্ট টেবিলে তিন নম্বরে রয়েছে তারা। গ্রুপের প্রথম দুই দল যাবে সেমিফাইনালে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শেষ চারের লড়াইয়ে রইল দক্ষিণ আফ্রিকা।