অ্যান্টিগুয়া : বাংলাদেশকে ১৪০ রানেই আটকে দিল অস্ট্রেলিয়া। শেষের দিকে একের পর এক তিনটি উইকেট তুলে নিলেন প্যাট কামিন্স। এদিন অ্যান্টিগুয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুপার এইটের ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিশেল মার্শ। AUS vs BAN Match
যেমনটা বরাবর করে ওঠেন। এদিনও তার অন্যথা হল না। ইনিংসে শুরুতেই, বলা ভাল তৃতীয় বলে তানজিন হোসেনকে তুলে নেন মিশেল স্টার্ক। আর এর সঙ্গে সঙ্গে নয়া রেকর্ড গড়লেন তিনি। পেরিয়ে গেলেন শ্রীলঙ্কার লসিথ মালিঙ্গাকে। একদিনের ও টি২০ বিশ্বকাপে সবথেকে বেশি উইকেটের শিকারি এখন তিনি।
তবে, লিটন দাস ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্টোরর ব্যাটিংয়ে ভর করে ম্যাচে ফিরে আসেন টাইগাররা। চতুর্থ ওভারের শুরুতেই জশ হ্যাজেলউডকে বিশাল ছক্কা হাঁকান শান্টো। এরপর পঞ্চম ওভারে ২টি চার। পাওয়ার শেষ অবধি টিকে থাকে এই জুটি। ৯ ওভারে দাসকে তুলে নেন জাম্পা। ড্রিঙ্কস বিরতির আগে শেষ ডেলিভারিতে রিশাল হোসেনের উইকেট খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ। নিয়মিত ব্য়বধানে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে টাইগাররা। মাঝের ব্যাটিং অর্ডারে কার্যত কোনও পার্টনারশিপপ গড়ে তুলতে পারেনি।
১৩ তম ওভারে শান্টোকে তুলে নেন জাম্পা। ৩৬ বল খেলে ৪১ রান করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। এই উইকেটের পতনের পর বিশাল চাপ বাড়ে বাংলাদেশের মিডিল অর্ডারের ওপর। ১৮ তম ওভারে দুটি উইকেট তুলে নেন কামিন্স। এরপর ২০ ওভারের শুরুতে তুলে নেন হৃদয়কেও। অর্থাৎ, ওভারের ব্যবধানে হ্যাটট্রিক করেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। টুনার্মেন্টের প্রথম হ্যাটট্রিক এটি। তাঁর বোলিং পরিসংখ্যানও নজরকাড়া রইল এধিন। চার ওভার বল করে ২৯ রান খরচ করে তুলে নিলেন ৩টি উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসাবে তিনি টি২০ বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করলেন। এর আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেই একই নজির গড়েছিলেন ব্রেট লি। অন্যদিকে, বাংলাদেশের হয়ে হৃদয়ের ২৮ বলে ৪০ রানে ভর করে ১৪১ -এর লক্ষ্যমাত্রা দিতে সক্ষম হন টাইগাররা। ৮ উইকেট খুইয়ে ১৪০ রান করে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : বাংলাদেশ ১৪০/৮ ( নাজমুল হোসেন শান্টো ৪১, তৌহিদ হৃদয় ৪০; প্যাট কামিন্স ২৯ রানে ৩ উইকেট নিলেন)।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।