কোচি: হিরো আইএসএল ২০২২-২৩ মরসুম হার দিয়ে শুরু করতে হল তাদের। শুক্রবার কোচির (Kochi) জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে গতবারের রানার্স আপ কেরালা ব্লাস্টার্স ৩-১-এ হারাল ইস্টবেঙ্গল এফসি-কে (Emami East Bengal FC)। ৭২ মিনিট পর্যন্ত গোলশূন্য থাকার পর আদ্রিয়ান লুনার (Adrian Luna) গোলে এগিয়ে যায় ব্লাস্টার্স। কিন্তু ম্যাচের একেবারে শেষে আট মিনিটের মধ্যে হওয়া তিনটি গোলই ম্যাচের নিষ্পত্তি করে দেয়। এই হারের জন্য দলের ছেলেদের মনসংযোগের অভাবকেই দায়ী করছেন ইস্টবেঙ্গল এফসি-র ব্রিটিশ কোচ স্টিফেন কনস্টান্টাইন। এ দিন ম্যাচের পরে সংক্ষিপ্ত সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়ে দেন ডুরান্ড কাপের শেষ ম্যাচে যে ছন্দ নিয়ে মুম্বই সিটি এফসি-কে হারিয়েছিল তাঁর দল, সেই ছন্দ এই ম্যাচে পায়নি তাঁর দলের ফুটবলাররা। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে। এই ব্যর্থতার ব্যাখ্যা সাংবাদিক বৈঠকে কী ভাবে দিলেন স্টিফেন? জেনে নেওয়া যাক।


লিগের শুরুতেই হারের পর কী পেলেন এই ম্যাচ থেকে?


শুরুতেই আমি বিপক্ষের কোচকে অভিনন্দন জানাতে চাই ওদের জয়ের জন্য। আমি কোনও অজুহাত দিতে চাই না। তরুণদের নিয়ে গড়া দল নিয়ে ৬-৭ সপ্তাহ অনুশীলন করতে পেরেছি আমরা। তবে এটাই সত্যি ঘটনা। প্রথমার্ধে আমরা সুযোগ পেয়েছি। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের মনসংযোগে ঘাটতি ছিল। লুনা যখন গোলটা করে, তখন ওকে ওই জায়গায় পৌঁছতে দেওয়া ঠিক হয়নি। ওর সঙ্গে আমাদের কারও লেগে থাকা উচিত ছিল। আমাদের তো ভুল হয়েছেই। এর মধ্যেও কিছু ইতিবাচক ব্যাপার আছে। ব্লাস্টার্স গতবার লিগে চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিল। ওদের সেই দলই খেলছে, সেই কোচেরই তত্ত্বাবধানে। প্রথমার্ধে আমরা ওদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছি। দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দ হারাই। পরের দুটো গোলই আমরা নিজেদের দোষে খেয়েছি। এই ধরনের ম্যাচে মনসংযোগ নষ্ট হলে সফল হওয়া কঠিন।


শেষ কুড়ি মিনিটে আপনার দলের ছেলেদের শারীরিক সক্ষমতায় কি ঘাটতি হয়েছিল বলে মনে হয়?


শারীরিক সক্ষমতার থেকেও বেশি যেটার অভাব হয়েছে, তা হল ম্যাচ প্র্যাকটিস। একটা দল যত ম্যাচ খেলে, তত তারা ম্যাচের উপযোগী হয়ে ওঠে। মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে ডুরান্ড কাপের শেষ ম্যাচে সেটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। ওটাই এ মরশুমে আমাদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ছিল এবং আমরা ভালই খেলেছিলাম। ঠিকঠাক পরিবর্তন করে খেলোয়াড় নামিয়েছিলাম। হার মোটেই ভাল জিনিস নয়। তবে এই হার থেকে শিক্ষা নিতে হবে আমাদের। সামনে আমাদের ম্যাচ এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে, কলকাতায়। এখন সেই ম্যাচ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করতে হবে আমাদের।


গ্যালারিতে দর্শকেরা ফিরে এসেছেন। আজ তাই পরিবেশই অন্য রকম ছিল। সব মিলিয়ে কেমন লাগল?


কেরালার সমর্থকেরা আজ আমাদের যে ভাবে অভ্যর্থনা জানিয়েছে, তা অসাধারণ, খুবই ভাল লেগেছে আমার। দুবছর পরে সমর্থকদের সামনে মাঠে নামার অভিজ্ঞতাটা অবশ্যই দুর্দান্ত। এই পরিবেশ অভাবনীয়। ভারতীয় ফুটবলের জনপ্রিয়তা যে এখনও ছিটেফোঁটা কমেনি, তা এ থেকেই বোঝা যায়। এ থেকে কতটা ইতিবাচক বের করা যায়, সেটাই প্রশ্ন। তবে আমার মনে হয় ভারতের নিয়মিত এশিয়ান কাপের মূলপর্বে যোগ্যতা অর্জন করা উচিত এবং ভবিষ্যতে ভারতকে বিশ্বকাপেই বা কেন দেখা যাবে না?                                                                                                                                   তথ্য সংগ্রহ- আইএসএল মিডিয়া