কলকাতা: কলিঙ্গ সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল। ওড়িশা এফসিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দিল লাল হলুদ ব্রিগেড। ২৮ রানে ভারতকে প্রথম টেস্টে হারিয়ে দিল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন জ্যাক সিনার। দেখে নিন দিনের সেরা খেলার খবরগুলো-
রঞ্জিতে বাংলার জয়
অসমের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে অনুষ্টুপ মজুমদার ও অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির অনবদ্য শতরানে ভর করে ৪০০ রানের গণ্ডি পার করে ফেলেছিল বাংলা। তারপর অসমকে মাত্র ১০৩ রানে অল আউট করার পর সাত পয়েন্টের লক্ষ্যেই যে মনোজরা ঝাঁপাবেন তা নিশ্চিত ছিল। তাঁদের মনবাসনাও পূর্ণ হল। অসমকে ইনিংস এবং ১৬২ রানের বিরাট ব্যবধানে হারাল বাংলা। ব্যাটে বলে ম্যাচের নায়ক তরুণ সূরয সিন্ধু জয়সওয়াল। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর পাঁচ উইকেটে ভর করেই অসমকে ১৪০ রানে অল আউট করে দিল বাংলা। ব্যাট হাতে ৫২ রানের ইনিংসের পর প্রথম ইনিংসে তিন ও দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ায় সূরযই ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন। এ মরশুমের রঞ্জি ট্রফিতে এটাই বাংলার প্রথম জয়।
কলিঙ্গ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল
গতবারের চ্যাম্পিয়ন ওডিশা এফসি-কে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়ে কলিঙ্গ সুপার জিতে নিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। রবিবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে লাল-হলুদ বাহিনী টানা ১৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকা ওডিশা এফসি-র ধারাবাহিক সাফল্যের দৌড় থামাল ৩-২-এ জিতে। দীর্ঘ ১২ বছর পর জাতীয় পর্যায়ের কোনও ট্রফি জিতল কলকাতার শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব। ২০১২-য় ফেডারেশন কাপ জয়ের পর ২০২৪-এর সুপার কাপ নিয়ে ঘরে ফিরছে তারা। শুধু ট্রফি নয়, আগামী মরশুমে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এ খেলার ছাড়পত্রও পেয়ে গেল তারা।
ভারতের হার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে
এই ফলাফলের আশা বোধহয় করেননি ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও। অন্তত আজ ওলি পোপের (Ollie Pope) শেষ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও যখন ভারতের জন্য় জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়াল ২৩১, তখনও বোধহয় না। কিন্তু অন্যরকম ভেবেছিলেন ইংল্যান্ডের টম হার্টলি। চলতি টেস্টেই সাদা পোশাকে প্রথমবার দেশের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন। প্রথম ইনিংসে একেবারেই আশানুরুপ বল করতে পারেননি। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে নায়ক তিনিই। ব্যাট হাতে ১৯৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ওলি পোপ। আর বল হাতে একাই সাত উইকেট তুলে নিলেন তরুণ অফস্পিনার হার্টলি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়
গাব্বা টেস্টে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে অর্ধশতরান হাঁকান কাভেম হজ (৭১), জোশুয়া ডি সিলভা (৭৯) ও কেভিন সিনক্লেয়ার (৫০)। মোট ৩১১ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৯ রান বোর্ডে তুলে নেয়। কিন্তু হাতে এক উইকেট থাকা সত্ত্বেও ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিলেন কামিন্স। উসমান খোয়াজা (৭৫), অ্যালেক্স ক্য়ারে (৬৫) ও প্য়াট কামিন্স (৬৪) ব্য়াট হাতে অবদান রাখেন। আলজারি জোসেফ চার উইকেট ও কেমার রোচ নেন তিন উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৯৩ রানে। জশ হ্য়াজেলউড ও ন্য়াথান লিয়ঁ তুলে নেন তিন উইকেট করে। অজিদের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২১৬ রানের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের শামার জোসেফ একাই ৭ উইকেট নিয়ে নেন। ২০৭ রানে শেষ হয়ে যায় অজিদের ইনিংস। একা লড়াই করে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন স্টিভ স্মিথ।