নয়া দিল্লি : এবার লক্ষ্য সোনা। ২০২৪-এ প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জয়ই তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য। জানালেন টোকিও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী বক্সার লভলিনা বোর্গোহাই। সোমবারই দেশে ফেরেন লভলিনা সহ দেশের অন্য পদকজয়ীরা। দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁদের কার্যত রাজকীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে জনতা ভিড় করে। ফুল-মালা বাজনায় অভ্যর্থনা জানানো হয় পদকজয়ীদের।


বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের লভলিনা বলেন, "সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ভারতে ফিরে এসে ভাল লাগছে। এই ব্রোঞ্জকে সোনায় পাল্টানোর চেষ্টা করব। প্যারিস অলিম্পিক্স থেকে সোনার পদক জিতে আনতে চাই।" 
 
টোকিও অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জেতেন লভলিনা। তিনি হেরে যান তুরস্কের প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে। ৬৪-৬৯ কেজি মহিলাদের বিভাগে বিশ্বের ১ নম্বর বুসেনাজ সুরমেনলির বিরুদ্ধে হার মানতে হয় লভলিনাকে। বেশ কয়েকবার ভাল পাঞ্চ করলেও অভিজ্ঞতাতেই মূলত বাজিমাত করেন তরুস্কের বক্সার। দ্বিতীয় রাউন্ডে একটা সময় তুরস্কের বক্সারের থেকেও ভাল পারফর্ম চোখে পড়ছিল লভলিনার। কিন্তু পুরো ম্যাচ জুড়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলে জয় হাসিল করে নেন বুসেনাজ সুরমেনলি।


ব্রোঞ্জ জয়ের পর লভলিনা বলেছিলেন, "প্রথমেই বলব ভাল লাগছে মেডেল জিতে। কিন্তু যতটা ভেবেছিলাম ততটা হয়নি। তবুও মেডেল জিততে পেরেছি। দেশের জন্য এইটুকু করতে পেরেছি বলে ভাল লাগছে। কোভিডে কারণে প্রশিক্ষণে সমস্যা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু আমি একটাই লক্ষ্যে এগিয়েছিলাম যে অলিম্পিক্সে আমায় জিততেই হবে। সোনাই চাই। এই ভেবেই আমি ট্রেনিং করেছিলাম। সমস্যা এসেছিল বটে। তবে আমার কাছে অলিম্পিক্স ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তা ভেবেই প্রশিক্ষণ নিয়েছি। পুনের সফর ভাল ছিল। পুনেতে ভাল ট্রেনিং হচ্ছে। সেখানে ছেলেদের সঙ্গেও ট্রেনিং হয়েছে।"


কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াইয়ে লভলিনা বোর্গোহাই চিনা তাইপেইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী নিয়েন চিন চেনকে ৬৯-৭৫ কেজি ক্যাটাগরিতে ৪-১ ব্যবধানে হারান। এর সাথে সাথে অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করে ফেলেন তিনি। উঠে যান সেমিফাইনালে। সঙ্গে সঙ্গে গড়ে ফেলেন ইতিহাস। অসমের প্রথম মহিলা বক্সার হিসেবে অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেই পদক নিশ্চিত করেন।


এর আগে বক্সিংয়ে ২০০৮ অলিম্পিক্সে বিজেন্দর সিংহ পদক জিতেছিলেন। এরপর ২০১২ লন্ডন অলিম্পিক্সে কিংবদন্তি মেরি কমও পদক জিতেছিলেন। ২ জনেই অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।