রাজকোট: বাংলা শিবিরে আঁধার নামিয়েছিল হরিয়ানা (Haryana Cricket Team)। বিজয় হাজারে ট্রফির (Vijay Hazare Trophy) কোয়র্টার ফাইনালে হেলায় লক্ষ্মীরতন শুক্ল-সৌরাশিস লাহিড়ির প্রশিক্ষণাধীন দলকে হারিয়েছিল হরিয়ানা। বুধবার ইতিহাস তৈরি করল তারা। শক্তিশালী তথা ট্রফি জয়ের অন্যতম দাবিদার তামিলনাড়ুকে সেমিফাইনালে ৬৩ রানে হারিয়ে দিল। সেই সঙ্গে প্রথমবারের জন্য বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালে পৌঁছল হরিয়ানা।


বুধবার হিমাংশু রানার অপরাজিত সেঞ্চুরি এবং অংশুল কম্বোজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সাহায্যে চলতি বছরের বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালে উঠল হরিয়ানা। ১৯৯০-৯১ রঞ্জি ট্রফির পর পুরুষদের ঘরোয়া কোনও প্রথম সারির টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রথমবার জায়গা করে নিল হরিয়ানা। বুধবার রাজকোটে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন তামিলনাড়ুকে ৬৩ রানে হারিয়ে বিজয় হাজারে ট্রফির ফাইনালে প্রবেশ করেছে হর্ষল পটেল, যুবরাজ সিংহরা। এর ফলে হরিয়ানার জয়রথ অব্যাহত।


বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি রাজস্থান ও কর্নাটক। সেই ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গে শনিবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে হরিয়ানা।


বুধবার যুজবেন্দ্র চাহাল হরিয়ানার হয়ে খেলেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজের জন্য ভারতীয় দলে রয়েছেন তিনি। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৯৩ রান তোলে হরিয়ানা। জবাবে তামিলনাড়ু দল ৪৭.১ ওভারে ২৩০ রান করে অল আউট হয়ে যায়। ৩০ রানে চার উইকেট নিয়ে কেরিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স উপহার দেন ফাস্টবোলার অংশুল কম্বোজ।


তবে হরিয়ানার এদিনের জয়ের নায়ক ছিলেন হিমাংশু রানা। তিনি ১১৮ বলে অপরাজিত ১১৬ রান করেন। এদিনের ইনিংসে তিনি ১১টি চার ও দুটি ছক্কা মেরেছিলেন। হরিয়ানার ওপেনার যুবরাজ সিংহ এদিন ৭৬ বলে ৬৫ রান করেন। দ্বিতীয় উইকেটে ১৩২ রান যোগ করে দলকে প্রাথমিক বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করেন তিনি। শেষ দিকে সুমিত কুমার আগ্রাসী ব্যাটিং করে ৩০ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন। তিনটি চার ও তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। সপ্তম উইকেটে রানার সঙ্গে ৭৫ রানের জুটি গড়েন সুমিত কুমার। তামিলনাড়ুর পক্ষে টি নটরাজন তিনটি এবং বরুণ চক্রবর্তী ও এসএ কিশোর দুটি করে উইকেট নেন।


কঠিন লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তামিলনাড়ুর দল শুরুতেই ধাক্কা খায়। ৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় তারা। সেখানেই যেন হেরে যায় তারা। এরপর ২১তম ওভারে তাদের স্কোর দাঁড়ায় চার উইকেটে ৭৬ রান।


বাবা ইন্দ্রজিৎ (৭১ বলে ৬৪ রান) তামিলনাড়ুর আশা বাঁচিয়ে রাখলেও অপর প্রান্ত থেকে তিনি যথেষ্ট সমর্থন পায়নি। অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক ৩৫ বলে ৩১ রান করেন এবং ইন্দ্রজিতের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৫৮ রান যোগ করেন। এই দুজন ছাড়াও এন জগদিশান ৩০ রান করেন। সাই কিশোর ২৯ রান এবং বিজয় শঙ্কর ২৩ রান করেন। কম্বোজের চার উইকেট ছাড়াও হরিয়ানার হয়ে রাহুল তেওয়াটিয়া ৫০ রানে দুটি উইকেট নেন। সুমিত কুমার, নিশান্ত সিন্ধু ও হর্ষল পটেল একটি করে উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন হিমাংশু রানা।


আরও পড়ুন: ধোনির বুড়ো হাড়ে ভেল্কি, কোহলির কীর্তি, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ২২ গজের ২০২৩


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে