মুম্বই: ১৯৫৬ সালে জিম লেকারের পর ১৯৯৯ সালে অনিল কুম্বলে (Anil Kumble)। ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ প্রথম লাইনটি পড়ার পরই বুঝে যাবেন যে ঠিক কোন ম্যাচের কথা বলা হচ্ছে। ফিরোজ শাহ কোটলায় ২৩ বছর আগে কিংবদন্তি লেগস্পিনারের দুরন্ত স্পেল আজও ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের হৃদয় গাঁথা। বিশ্বের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছিলেন কুম্বলে। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, সেদিন প্রতিপক্ষ ওয়াসিম আক্রমের চালাকিতে হয়ত ইতিহাস গড়াই হত না ভারতীয় ক্রিকেটের জাম্বোর। ঠিক কী হয়েছিল? ওস্তাদের মার সিরিজে আজ অনিল কুম্বলের সেই বিখ্যাত স্পেল নিয়েই আমাদের প্রতিবেদন -


১৯৯৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। টেস্ট ক্রিকেটে একজন বোলারের শীর্ষ সাফল্য বলে যদি কিছু থাকে, সেই লক্ষ্যেই পৌঁছে গিয়েছিলেন কুম্বলে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ২২ গজে বল হাতে দাপট দেখিয়েছিলেন কুম্বলে। একের পর এক পাক ব্যাটারদের প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখাচ্ছিলেন তিনি। সেই টেস্টের শেষ ইনিংসে রান তাড়া করতে নেমেছিল পাকিস্তান। আর সেই ইনিংসে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটই তুলে নেন ভারতীয় প্রাক্তন লেগি। কুম্বলে সেই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬.৩ ওভার বল করে ৯টি মেডেন-সহ ৭৪ রানের বিনিময়ে ১০টি উইকেট দখল করেন। গত বছর কিউয়ি স্পিনার আজাজ পটেল বিশ্বের তৃতীয় স্পিনার হিসেবে এই নজির গড়েছিলেন







খরচ করা রানের নিরিখে সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স নির্ধারণ করা হলে কুম্বলের এই বোলিং পারফর্ম্যান্স সর্বকালীন তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকবে। জিম লেকার ১৯৫৬ সালে ম্যাঞ্চেস্টারে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্টের এক ইনিংসে নিয়েছিলেন ৫৩ রানে ১০ উইকেট। আজাজ মুম্বইয়ে নেন ১১৯ রানে ১০ উইকেট।


তবে এমনটা হতই না, যদি কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আক্রমণের চালাকি মিলে যেত। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন আক্রম। তিনি না কি চাননি যে কুম্বলের দশম শিকার তিনি নিজে হন। তাই সতীর্থ ওয়াকারকে জানিয়েছিলেন যে কুম্বলের ওভার যে ওয়াকার খেলেন। কিন্তু আক্রমণের সেই লক্ষ্যপূরণ হয়নি। কারণ কুম্বলের বলে  ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ আউট হয়ে যান আক্রম। 


সেই ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্য ৪২০। ২০৭ সালেই অল আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। ২১২ রানে ম্য়াচ হেরে যায় পাক শিবির। বিশ্ব ক্রিকেটে আরও তিন বোলার আছেন যারা ইনিংসে ৯ উইকেট নিলেও ১০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়তে পারেননি। তাঁরা হলেন মুত্থাইয়া মুরলিথরণ, কেশব মহারাজ, রঙ্গনা হেরাথ। 


আরও পড়ুন: একটা সোনা অনেক কিছু বদলে দিতে পারে: হরমনপ্রীত