মুম্বই: বাঁহাতি পেসার হিসেবেই পরিচিতি তিনি। তবে গতকাল ব্য়াট হাতেও ঝোড়াে অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন। তাও আবার শক্তিশালী ইংল্য়ান্ডের বোলিং লাইন আপের বিরুদ্ধে। ৪২ বলে ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ইয়েনসেন বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর ব্যাটের হাতও বেশ ভাল। শুধু তাইই নয়, নিজের ইনিংসে মাত্র ৩টি বাউন্ডারি হাঁকালেও ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি ৬টি। অর্থাৎ ওভার বাউন্ডারির সংখ্যা বাউন্ডারির থেকে বেশি। উড, উইলিদের বিরুদ্ধে এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পর তরুণ প্রোটিয়া পেসার বলছেন, ''আমি ভীষণ খুশি। ভীষণ খুশি। আমি যখন বড় হচ্ছিলাম, তখন থেকে আমার ব্যাটিংয়ের প্রতি একটা আলাদা ভালবাসা ছিল। হতে পারে যে আমি হয়ত টেকনিক্যাল শক্তিশালী নই অন্যদের মত। তবে আমি নিজের ব্যাটিং ভীষণভাবে উপভোগ করি। দলের জন্য ব্যাট হাতে যতটা অবদান রাখা যায় সেই চেষ্টাই করি। এমনিতে আমি জানি যে নতুন বলে উইকেট নেওয়াই আমার দায়িত্ব।''


৭ নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে নেমেছিলে মার্কাে গতকাল। সেখান থেকে ক্লাসেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। প্রোটিয়া উইকেট কিপার ব্যাটার সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন গতকালের ম্যাচে। মার্কো অর্ধশতরান করেন। ২ জনের সম্মিলিত প্রয়াসে বোর্ডে চারশোর কাছাকাছি পৌঁছে যায়। সতীর্থের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা শোনা গেল ক্লাসেনে মুখেও। তিনি বলছেন, ''মার্কাে প্রতিদিন ওর ব্যাটিং নিয়ে বেশি পরিশ্রম করছে। ডেথ ওভারে আমাদের দলে আলাদা ভারসাম্য যোগ করে ও। মাঝে কয়েকটা ইনিংসে খুব একটা ভাল খেলতে পারেনি মার্কো। তাই কিছুটা হতাশ ছিল ও।''


 ৪০০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ১৭০ রানেই অল আউট হয়ে যায় গতকাল ইংল্যান্ড শিবির। বিশাল লক্ষ্যমাত্রা। তার ওপর আগের ম্য়াচে হারের মানসিক চাপ। ইংল্যান্ডের হয়ে ওপেনে নেমেছিলেন ডেভিড মালান ও জনি বেয়ারস্টোই। এবারের বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত বেয়ারস্টোর ব্যাটে বড় রান দেখতে পাওয়া যায়নি। এদিন একটি ছক্কা ও একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুরুটা ভাল করেছিলেন। তবে এদিনও পেলেন না রান। ১০ রানে করেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন তিনি। ৬ রান করেন ডেভিড মালান। হ্যারি ব্রুক ১৭ ও জস বাটলার ১৫ রান করেন। টপ ও মিডল অর্ডার ব্যর্থ এদিন পুরো। একসময় মনে হচ্ছিল ১০০ রানও হয়ত বোর্ডে তুলতে পারবে না ইংল্যান্ড। সেখান থেকে গাস অ্যাটকিনসন ও মার্ক উড মিলে দলের স্কোর দেড়শোর গণ্ডি পার করালেও তা জয়ের জন্য কখনওই যথেষ্ট ছিল না। অ্যাটকিনসন ৩৫ রান করেন ও মার্ক উড ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।