মুম্বই: ব্যাট হাতে কার্যত একা লড়েও দলকে জেতাতে পারলেন না থালিয়া ম্যাকগ্রা (Tahlia McGrath)। জলে গেল তাঁর ৯০ রানের ইনিংস। ডব্লিউপিএলের (WPL 2023) পঞ্চম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ২১২ রান তাড়া করতে নেমে ১৬৯ রানেই থমকে গেল ইউপি ওয়ারিয়ার্সের ইনিংস। ব্যাট হাতে ঝোড়ো ইনিংসের পর বল হাতেও তিন উইকেট নিয়ে দিল্লিকে জেতালেন জেস জোনাসেন (Jess Jonassen)।
থালিয়ার লড়াই
অধিনায়ক অ্যালিসা হিলির (২৪) ব্যাটে ভর করে শুরুটা ভাল করলেও দুই ওভারের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইউপি ওয়ারিয়ার্স। গত ম্যাচে চাপের মুখে কিরণ নভগিরে দুরন্ত অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন বটে। তবে এদিন তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ। মাত্র দুই রানে তাঁকে ফেরান জোনাসেন। তবে দীপ্তি শর্মার সঙ্গে জুটি বেঁধে ইউপির হয়ে লড়াইটা শুরু করেন থালিয়া। চতুর্থ উইকেটে তিনি ও দীপ্তি ৪০ রান যোগ করেন। অবশ্য দীপ্তি ১২ রানের বেশি করতে পারেননি।
এরপর থালিয়ার সঙ্গ দেন দেবীকা বৈদ্য। তিনি ২৩ রান করেন। দেবীকা ও থালিয়া ৪৯ রান যোগ করেন। একদিকে থালিয়া একাই লড়াই চালিয়ে যান। অল্পের জন্য ডব্লিউপিএলের প্রথম শতরান হাতছাড়া করেন থালিয়া। ৫০ বলে ৯০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন থালিয়া। শেষমেশ যোগ্য সঙ্গের অভাবেই তিনি দলকে জেতাতে পারলেন না। ৪২ রানে পরাজিত হল ইউপি। দুই ম্যাচের দুইটিই জিতে মুম্বইয়ের ইন্ডিয়ান্সের পর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে বজায় রইল দিল্লি।
প্রথম ইনিংস
এদিন টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামতে হয় ল্যানিংদের। শেফালি ও ল্যানিং গত ম্যাচে ওপেনিংয়ে ১৬২ রান যোগ করেছিলেন। এদিনও দুইজনে শুরুটা বেশ ভালই করেছিলেন। পাওয়ার প্লেতেই দিল্লিকে ৬০ রানের গণ্ডি পার করান দুই দিল্লি ওপেনার। তবে শেফালি ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। তাঁকে সাজঘরে ফেরান থালিয়া ম্যাকগ্রা। মারিজানে কাপও ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে অপরপ্রান্তে ল্যানিং নিজের ইনিংস চালিয়ে যান। ৩২ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি।
শেষমেশ রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় ৭০ রানে ল্যানিংকে (৪২ বলে) সাজঘরে ফেরান। অ্যালিস ক্যাপসি শুরুটা দারুণ আগ্রাসীভাবে করলেও, ১০ বলে ২১ রান করে তাঁকেও সাজঘরে ফিরতে। পরপর দুই উইকেট নিয়ে ইউপি ম্যাচে ফেরে। তবে দিল্লিকে কম রানে আটকে রাখার অ্যালিসা হিলিদের পরিকল্পনায় জল ঢেলে জেন জেস জোনাসেন। ২০ বলে দুরন্ত ছন্দে ৪২ রান করেন তিনি। জেমাইমা রডরিগেজও তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন। তাঁর ৩৪ রানের ইনিংস আসে ২২ বলে। পঞ্চম উইকেটে জোনাসেন ও জেমাইমার ৬৭ রানের পার্টনারশিপ দিল্লিকে ২০০ রানের গণ্ডি পার করতে সাহায্য করে। ইউপির হয়ে শবনিমের বোলিং পরিসংখ্যানই সর্বসেরা। তিনি নিজের নির্ধারিত ৪ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে এক উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: রাহুল, গম্ভীরদের উপস্থিতিতে প্রকাশিত হল লখনউয়ের নতুন জার্সি