কলকাতা: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলতে উড়ে যাবে ভারতীয় দল। সাংবাদিক বৈঠকে বোমা ফাটালেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। জানালেন, তিনি টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ছাড়বেন বলার পর বোর্ডের কেউই তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কথা বলেননি। যার কয়েকদিন আগেই বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly) স্বয়ং জানিয়েছিলেন যে, কোহলিকে নেতৃত্ব না ছাড়ার অনুরোধ করা হয়েছিল। কোহলির বিবৃতির পর শোরগোল পড়ে যায় ক্রিকেটবিশ্বে। কে ঠিক বলছেন, কে মিথ্যে, তা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে ক্রিকেটমহল।
কোহলির সেই বিস্ফোরণ ভারতীয় ড্রেসিংরুমে কী প্রভাব ফেলেছিল? বিরাট-বিতর্কে যখন ভারতীয় ক্রিকেট পুড়ছে, তখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মাঠে ক্রিকেটীয় দ্বৈরথে কেমন ছিল ভারতীয় দলের আবহ?
দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ শেষ হওয়ার পর কলকাতায় ফিরেছেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। শুক্রবার সন্ধ্যায় এবিপি লাইভের প্রশ্ন শুনে জাতীয় টেস্ট দলের উইকেটকিপার-ব্যাটার বললেন, 'বিরাট কোহলিকে ঘিরে বিতর্ক দলের ওপর কোনও প্রভাব ফেলেনি। এটা ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার ছিল। ও একাই সামলেছে। দলের মধ্যে এ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।'
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে পরাজয়ের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে টেস্ট দলেরও নেতৃত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন কোহলি। যা নতুন করে ভারতীয় ক্রিকেটে আলোড়ন ফেলে দেয়। বিরাটের নেতৃত্ব ছাড়ার কথা জানতে পেরেছিলেন কীভাবে? ৩৭ বছরের ঋদ্ধিমান বলছেন, 'বিরাট ব্যক্তিগতভাবে জানায়নি। মাঠ থেকে ফেরার পর হোটেলে টিম মিটিংয়ে জানিয়েছিল যে, ও নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছে। বলেছিল, পরের ম্যাচ থেকে আর ক্যাপ্টেন হিসাবে থাকছি না। আমি নেতৃত্ব ছেড়ে দিচ্ছি।'
কতটা অবাক হয়েছিলেন শুনে? 'পুরোপুরি অবসর নিয়ে নিলে ভীষণ অবাক হতাম। ধোনির খেলা ছাড়ার সিদ্ধান্তে যেমন হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কুইন্টন ডি'ককের টেস্ট থেকে অবসরের সিদ্ধান্তেও অনেকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিল। তবে কোহলির সিদ্ধান্তেও সকলেই কমবেশি অবাক হয়েছে,' বলছিলেন ঋদ্ধিমান। যোগ করলেন, 'কোহলির নেতৃত্বে বিদেশে ধারাবাহিকভাবে জিতেছি। সাত বছরে আমাদের বোলিং অনেক শক্তিশালী হয়েছে। আমি বেশিরভাগ ম্যাচই খেলেছি ওর নেতৃত্বে। দারুণ কেটেছে গোটা দলের। আমরা বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল হয়েছি কোহলির নেতৃত্বে।'
কেন নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেন কোহলি? ঋদ্ধিমান বলছেন, 'ঠিক কী কারণে ছেড়েছে, সেটা ও-ই সবচেয়ে ভাল বলতে পারবে। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় ও পরিবারকে বেশি সময় দিতে চায়। নিজের ব্যাটিংয়ে বেশি মনোযোগ দিতে চায়। চাপমুক্ত থেকে ক্রিকেট খেলতে চায় বলেই এই সিদ্ধান্ত।'
করোনার ধাক্কায় অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের দলে সুযোগ বাংলার অভিষেকের