নয়াদিল্লি: অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় দলের একদিনের ও টি-২০ সিরিজ শেষ। প্রস্তুতি ম্যাচের পর এবার টেস্ট সিরিজ খেলবেন বিরাট কোহলিরা। তার আগে দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মার ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হওয়া ভারতীয় শিবিরের পক্ষে ভাল খবর। কিন্তু এই সিরিজে উইকেটকিপার হিসেবে কাকে প্রথম একাদশে নেওয়া হবে, সেটা নিয়ে ফের দ্বিধাগ্রস্ত টিম ম্যানেজমেন্ট। সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে এখন কে এল রাহুলকে উইকেটের পিছনে দাঁড় করাচ্ছেন বিরাট। কিন্তু টেস্টে রাহুলকে দিয়ে কাজ চালানো সম্ভব নয়। একজন বিশেষজ্ঞ উইকেটকিপার দরকার। সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ঋদ্ধিমান সাহা ও তরুণ ঋষভ পন্থের মধ্যে যে কোনও একজনকে বেছে নিতে হবে। এই দুই উইকেটকিপারই দলে আছেন। অভিজ্ঞতা ও কিপিংয়ের দক্ষতার বিচারে অবশ্যই এগিয়ে বাংলার ঋদ্ধিমান। কিন্তু ঋষভের ব্যাটিং দক্ষতা আবার ভাল। ফলে কাকে বেছে নেওয়া হবে, সেটা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে।


এ বিষয়ে নিজস্ব মতামত জানিয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটসম্যান সঞ্জয় মঞ্জরেকর। তিনি ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ‘টেস্টে সবসময়ই কিপিংয়ের দক্ষতাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। শুরুতেই স্টিভ স্মিথের ক্যাচ ফেলে দিলে ও ২০০ রান করে দিতে পারে। তাই আমার পছন্দের উইকেটকিপার ঋদ্ধিমান সাহা। তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ায় পেস বোলিংয়ের সামনে একজন ভালমানেক উইকেটকিপার দরকার। এক্ষেত্রেও এগিয়ে ঋদ্ধিমান সাহা।’

২০১০ সালে অভিষেক হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ৩৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ১,৩৮ রান করেছেন ঋদ্ধিমান। গড় ৩০.১৯। শতরান তিনটি এবং অর্ধশতরান পাঁচটি। ক্যাচ ৯২টি এবং স্টাম্পিং ১১টি।

অন্যদিকে, ২০১৮ সালে টেস্টে অভিষেক হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ১৩টি ম্যাচ খেলে ৮১৪ রান করেছেন পন্থ। গড় ৪৪.৩৫। শতরান ও অর্ধশতরান দু’টি করে। ক্যাচ ৫৯টি এবং স্টাম্পিং দু’টি।

ব্যাটিং দক্ষতায় এগিয়ে থাকায় নিউজিল্যান্ড সফরে ঋদ্ধিমানের বদলে পন্থকে খেলানো হয়েছিল। এবারও কি তেমনই হবে? টিম ম্যানেজমেন্ট এখনও এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে উইকেটকিপার হিসেবে খেলানো হয় ঋদ্ধিমানকে। তবে অস্ট্রেলিয়া এ দলের বিরুদ্ধে গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচে আবার উইকেটকিপার হিসেবে দেখা গেল পন্থকে। প্রস্তুতি ম্যাচে ঋদ্ধিমান ২২ বল খেলে কোনও রান করতে পারেননি। পন্থ ১১ বল খেলে ৫ রান করেন।

১৭ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে প্রথম টেস্ট ম্যাচ। টিম ম্যানেজমেন্ট যদি ব্যাটিংয়ের কথা ভাবে, তাহলে অবশ্যই এগিয়ে থাকবেন পন্থ। কিন্তু যদি উইকেটকিপিংয়ের দক্ষতার কথা ভাবা হয়, তাহলে বাংলার উইকেটকিপারেরই সুযোগ পাওয়ার কথা।