মুম্বই: শনিবার, ২১ শে অগাস্ট ৩৫ বছর পূর্ণ করলেন ইউসেইন বোল্ট। সকাল থেকে কিংবদন্তি অ্যাথলিটকে ঘিরে সমর্থকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। সোশ্যাল মিডিয়া উপচে পড়ছে শুভেচ্ছাবার্তায়। শুভ জন্মদিন পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম মানব, শুভ জন্মদিন ইউসেইন ‘দ্য লাইটনিং’ বোল্ট, বিদ্যুৎ বোল্টকে শুভেচ্ছা - এরকম হাজারো বার্তায় ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।
বোল্টকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানালেন যুবরাজ সিংহও। ভারতের প্রাক্তন বাঁহাতি ব্যাটসম্য়ান বোল্টের সঙ্গে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, 'গতির রাজা ইউসেইন বোল্টকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা। আলো কীভাবে তোমার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। কিংবদন্তি।'
বোল্ট নিজে ক্রিকেট খেলতে ভালবাসেন। যুবরাজের শুভেচ্ছাবার্তা তাঁর মন কেড়েছে। যুবির ট্যুইট রিট্যুইট করে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। লিখেছেন, 'ধন্যবাদ ভাই।'
জামাইকার ছোট্ট শহর ট্রিলনি পারিসে ১৯৮৬ সালের ২১ অগাস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন বোল্ট। বাবা ওয়েলেসলি, মা জেনিফার বোল্ট। ভাই সাদেকি ও বোন শেরিনের সঙ্গে বেড়ে ওঠা। সংসার চালাতে মুদি দোকান দেখাশোনা করতেন ছোটবেলা। কৈশোরে যে হাতে চাল-ডাল বিক্রি করতেন, সে হাত দিয়েই বড় হয়ে অটোগ্রাফ দিয়েছেন বোল্ট। পৃথিবীর সর্বকালের দ্রুততম মানব। যিনি ৯.৫৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার এবং ১৯.১৯ সেকেন্ডে ২০০ মিটার দৌড়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। ২০১০ সালে ভেঙেছেন নিজের করা বিশ্বরেকর্ড। ২০১৬ সালের রিও অলিম্পিক্সে জিতেছেন ৯টি সোনা ৷
জামাইকার ছোট্ট শহর সেরুট কনটেন্টের মাঠে-ঘাটে ছুটে চলা সেই ছেলেটিকে আজ বিশ্ব চেনে ইউসেইন বোল্ট নামে। ছোট থেকেই খেলাধুলা ছিল তাঁর ধ্যান-জ্ঞান। বন্ধুদের নিয়ে কখনও ক্রিকেট আবার কখনও ফুটবলে মাতিয়ে রাখতেন ছোট্ট শহর। প্রাথমিক শিক্ষা জামাইকার ওয়েলডেসিয়া প্রাইমারি স্কুলে। সেই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমেই স্প্রিন্ট ট্র্যাকে প্রবেশ বোল্টের। সেখানে শুরুতেই বাজিমাত করেছিলেন তিনি। ১২ বছর বয়সেই ভেঙে দেন ১০০ মিটার স্প্রিন্টে স্কুলের দ্রুত গতির রেকর্ড।
কিন্তু তখনও স্প্রিন্ট নয়, বরং তাঁর হৃদয় জুড়ে শুধুই ক্রিকেট আর ফুটবল। ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল ক্রিকেটার হওয়ার। বলা চলে ক্রিকেটই তাঁর প্রথম ভালোবাসা। স্কুলজীবনে ক্রিকেটই ছিল তাঁর একমাত্র ধ্যান-জ্ঞান। একসময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের হয়ে খেলারও স্বপ্ন দেখেছিলেন। পাশাপাশি ফুটবল খেলাতেও ছিলেন বেশ পারদর্শী।
যদিও পরে সব বদলে যায়। বোল্ট হয়ে ওঠেন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের কিংবদন্তি।