কলকাতা: বুলবুলের তাণ্ডবে ৩ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা তছনছ।সরকারি মতে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।এখনও নিখোঁজ ৮।
কারোর মাথার ছাদ উড়ে গেছে...লণ্ডভণ্ড দোকানপাট...নষ্ট, বিঘার পর বিঘা জমির ফসল।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের দাপটে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা চাক্ষুস করতে সোমবার আকাশপথে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে কাকদ্বীপ স্পোর্টস কমপ্লেক্সে জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন।


বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় - যুদ্ধকালীন তৎপরতায় দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিতে হবে।দুর্গত অঞ্চলকে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে হবে।এরজন্য দু’টি টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটি রাজ্যস্তরের টাস্ক ফোর্স - নেতৃত্বে থাকবেন মুখ্যসচিব।এছাড়া বুলবুল-বিধ্বস্ত দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের জন্য টাস্ক ফোর্স।নেতৃত্বে থাকবেন জেলাশাসকরা।
দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিলি নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, বুলবুলের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ফসলের জন্য ১০০ শতাংশ বিমার সুবিধা দেওয়া হবে। বুলবুল-বিধ্বস্ত বিভিন্ন এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কটের অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ,জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে জরুরি ভিত্তিতে পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে। জলের গাড়ি পৌঁছে দিতে হবে দুর্গত এলাকায়।
সূত্রের খবর, এদিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রিপোর্ট দেওয়া হয়,দুর্গত এলাকায় প্রায় ৬ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ,দুর্গত এলাকায় চটজলদি বিদ্যুৎ সংযোগ ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি সূত্রে খবর, ১ লক্ষ ৬৪ হাজার মানুষকে দুর্গত এলাকা থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, সরকার যে আগে থেকেই ব্যবস্থা নিয়েছে, তাতে বহু প্রাণ বাঁচানো গেছে...এটা কেন্দ্রও বলেছে,আমাদের কাজ খুব ভাল হয়েছে।
তবে প্রশাসন সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও কেন নদীতে ট্রলার নামল, তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এছাড়াও ৪৮ ঘণ্টা অন্তর অন্তর কোথাও কোনও অভাব-অভিযোগ উঠছে কি না, ত্রাণের সমস্যা আছে কি না, এসব নিয়ে খোঁজ নিতে হবে বলে প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।