Twitter Layoffs: ফের কর্মী ছাঁটাই হতে পারে ট্যুইটারে (Twitter)। সম্প্রতি এমনই আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আরও কিছু কর্মীকে ট্যুইটার থেকে ছাঁটাই (Layoffs) করা হতে পারে। শোনা যাচ্ছে, প্রোডাক্ট ডিভিশন থেকে কর্মী ছাঁটাই হতে পারে এবার। অন্যান্য বেশ কিছু বিভাগের উপরেও কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রভাব পড়বে বলে অনুমান। গতবছর অক্টোবর মাসে ট্যুইটারের দায়িত্ব নিয়েছেন ইলন মাস্ক। তারপর একধাক্কায় কোম্পানিত ওয়ার্ক ফোর্স কমিয়ে অর্ধেক করেছেন তিনি। ছাঁটাই হয়েছেন প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী। এমনকি ক্রিসমাসের আগেও কর্মী ছাঁটাই হয়েছে ট্যুইটারে। শোনা যাচ্ছে, এবার নতুন করে কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। প্রথম ধাক্কাতেই ট্যুইটারে ৭৫০০ কর্মী থেকে কমে হয়েছে ৩৫০০। মনে করা হচ্ছে, নতুন করে কর্মী ছাঁটাই ট্যুইটারে কর্মরতদের সংখ্যা ২০০০-এর নীচে নেমে আসবে। নতুন করে ট্যুইটারে কর্মী ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে, একথা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই উদ্বেগ শুরু হয়েছে ট্যুইটারের বর্তমান কর্মীদের মধ্যে। গতবছর প্রথমে কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ট্যুইটারেই। অক্টোবর মাসের শেষের দিকে ট্যুইটারের নতুন মালিক হয়েছিলেন ইলন মাস্ক। সিইও হওয়ার পরেই প্রথম ধাপে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করেছিলেন তিনি। সরিয়ে দেওয়া হয় ট্যুইটারের প্রাক্তন মালিক পরাগ আগরওয়াল- সহ আরও অনেক উচ্চপদস্থ আধিকারিককে। পরিবর্তন করা হয় ট্যুইটারের একাধিক নিয়ম কানুনও। 


ট্যুইটার ছাড়াও একাধিক টেক সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের পথেই হেঁটেছে। বর্তমানে হইচই শুরু হয়েছে মাইক্রোসফটের কর্মী ছাঁটাই প্রক্রিয়া নিয়ে। কর্মী ছাঁটাই (Layoffs) প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেছে মাইক্রোসফট (Microsoft) কর্তৃপক্ষ। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে তাদের সমগ্র ওয়ার্ক ফোর্সের (Work Force) ৫ শতাংশ কমানো হবে। প্রায় ১০ হাজার কর্মী কাজ হারাতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই কর্মীদের ছাঁটাই সম্পর্কিত নোটিস পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে। এটাই প্রথম নয়, গতবছরও মাইক্রোসফট সংস্থায় কর্মী ছাঁটাই হয়েছিল। চলতি বছর যে মাইক্রোসফটে কর্মী ছাঁটাই হবে ব্যাপক হারে, তার আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে শোনা গিয়েছিল যে প্রায় ১১ হাজার কর্মী চাকরি খোয়াতে পারেন। তবে মাইক্রোসফট সংস্থার সিইও সত্য নাদেল্লা আনুষ্ঠানিক ভাবে কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করার পর থেকে শোনা যাচ্ছে, প্রায় ১০ হাজার কর্মী কাজ হারাতে পারেন। মূলত হিউম্যান রিসোর্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ছাঁটাই হবে বলে শোনা গিয়েছে। মাইক্রোসফটের কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রভাব ভারতেও পড়বে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কতজন চাকরি খোয়াতে পারেন সেই বিষয়ে স্পষ্ট এবং সুনিশ্চিত ভাবে কোনও তথ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। 


আরও পড়ুন- গুগলকে টেক্কা দেবে এই প্রযুক্তি ! ChatGPT আগামীর ভবিষ্যৎ